চাঁদপুরের দু’বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মন্ত্রলায়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
সরকারি হওয়া জেলার এ দু’বিদ্যালয় হলো হাজীগঞ্জ মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ ও ফরিদগঞ্জ এ.আর পাইলট স্কুল । ঘোষণার পর থেকে দু’বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।
এ প্রজ্ঞাপনে সরকার চাঁদপুরের এ দু’টিসহ আরো ৪২টি বেসরকারি বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেছে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে দেশে প্রায় সাড়ে ৫০০ সরকারি হাইস্কুল হলো।
দেশের প্রতি উপজেলায় একটি করে বেসরকারি স্কুল ও কলেজ সরকারিকরণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন। এরপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, ৩১৫টি উপজেলায় হাইস্কুল এবং ৩২১টি উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর বিভিন্ন দফায় ১৯৯টি বেসরকারি কলেজ এবং ৩০৩টি হাইস্কুল জাতীয়করণের ব্যাপারে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নীতিগত অনুমোদন দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ৪৪টি হাইস্কুল সরকারিকরণ হলো। সরকারি হওয়া হাইস্কুলের শিক্ষকরা অন্য কোথাও বদলি হতে পারবেন না।
এর আগে গেলো বছরের ২৫ আগস্ট এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পাদ হস্তান্তর ও নতুন করে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়।
এদিকে সরকারিকরণে অনুভূতি প্রকাশ করে হাজীগঞ্জ মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজেরে অধ্যক্ষ মো. আবু সাঈদ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আল্লাহ তায়ালার কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। মাননীয় সাংসদ মেজর রফিকুল ইসলামের ডিও লেটারের ভিত্তিতে এটি সরকারিকরণ হলো। এ পদক্ষেপের কারণে শিক্ষার্থীকে আরো বেশি আমরা সেবা দিতে পারবে।
স্কুলে ও কলেজের সাধারণ ও ভোকেশনাল বিভাগে ৪ হাজার শিক্ষার্থী ও ৭০ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ এ আর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল আমিন কাজল চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘প্রথমত আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করছি। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং স্থানীয় সাংসদ ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার ভূমিকায় এটি সম্ভব হয়েছে। অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে আমাদেরটাকে বাছাই করা হয়েছে। বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানে জেনারেল ও ভোকেশনাল মিলে ১৩শ’ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছে ২৭ জন।
প্রতিবেদক- দেলোয়ার হোসাইন