কক্সবাজারের টেকনাফে ৩ স্ত্রী ঘরে রেখে এক তরুণীকে নিয়ে গ্রাম পুলিশ পালিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কচুবনিয়ায় কামরুন নাহার প্রকাশ কাজলী (১৭) নামের এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে যান মো: ইউনুছ নামে এক গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার)।
এ বিষয়টি এতোদিন বিভিন্ন ইস্যুতে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও খবরটি ছড়িয়ে পড়ায় গোটা উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে।
জানা গেছে, গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) মো: ইউনুছ টেকনাফ সদর ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশ হিসেবে কমর্রত ও কচুবনিয়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। কামরুন নাহার কাজলীও একই ইউনিয়নের বড় হাবিবপাড়ার মৃত ইউনুছের মেয়ে।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মৌলভী ছৈয়দুল ইসলাম জানান, ‘ঘটনাটি আমার ওয়ার্ডের। চৌকিদার ইউনুছের তিন স্ত্রী রয়েছে। তার মধ্যে এক স্ত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিশোরী নিয়ে গ্রাম চৌকিদার মো: ইউনুছ এলাকা থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা সত্য। এ নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন ধরণের গুঞ্জনও চলছে। মেয়েটির সাথে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল বলে শোনা যাচ্ছে।’
কাজলীর মা ফিরোজা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, ‘গত ১৭ জানুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইউনুছের নেতৃত্বে মাইক্রোবাস যোগে আমার মেয়ে কাজলীকে তুলে নিয়ে যায় এবং আত্মীয়-স্বজন মারফত খবর পাঠায় কক্সবাজার আদালতে কোর্ট রেজিষ্ট্রীর মাধ্যমে তাকে বিয়ে করা হবে। এ পর্যন্ত আমার মেয়ের কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ করেও কোন সুফল পাইনি। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউনুছ চৌকিদারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। (বিডি২৪লাইভ)
বার্তা কক্ষ
২০ জানুয়ারি,২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur