পুরুষের জীবনে বিয়ে এক অন্য মুহুর্ত। যা অকল্পনীয় একটি বন্ধন যে বন্ধনে সৃষ্টি হয় স্বামী -স্ত্রী। তবে নিজেদের বিয়ে নিয়ে অনেকে অনেক কিছু ভাবেন আমার বিয়ে তে আমি এই করবো যা অন্য সবার বিয়ের অনুষ্টানে হয়নি ।
তেমনি এক যুবক নরসিংদীর মনোহরদীতে হেলিকপ্টারে বিয়ে করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন এডভোকেট কাজী শরীফুল ইসলাম শাকিল।
গত বুধবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ থেকে বর ও নববধূকে বহন করা হেলিকপ্টারটি মনোহরদী উপজেলার হাফিজপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে।
এ সময় অসংখ্য উৎসুক জনতা হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় জমান। দুপুরে খুব কাছে থেকে হেলিকপ্টার দেখার সাধ মেটান স্থানীয় বাসিন্দারা।
বর অ্যাডভোকেট কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল মনোহরদী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও উপজেলার হাফিজপুর গ্রামের কাজী নজরুল ইসলাম বাদশার ছেলে। কনে মোছা. চাদনী আক্তার কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ চকবাজার গ্রামের ব্যবসায়ী সজল মিয়ার মেয়ে।
এ বিষয়ে বরের বড় ভাই কাজী আমিনুল ইসলাম শাওন বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় এক গ্রুপের হেলিকপ্টারটি ভাড়া করেন বর শাকিল। কনের বাড়ির পাশে বিদ্যালয় মাঠে দুপুর ২টায় বরবাহী হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে।
পরে কনের নিজ বাড়িতে শাকিল-চাঁদনীর বিবাহ সম্পন্ন হয়।তবে এটি আমাদের সবাইকে আনন্দ দিয়েছে ।বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর ও নববধূসহ ছয় জন হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়িতে আসে। আত্মীয়-স্বজনরা ধুমধাম করে বর-কনেকে বরণ করেন।
হেলিকপ্টারে বিয়ে করার ব্যাপারে বর অ্যাড. কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল জানান, ‘জীবনে বিয়ে তো একবারই। তাই নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানকে স্মৃতির পাতায় স্মরণীয় করে রাখতে স্ত্রীকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে এসেছি। যা অামার স্বপ্ন ছিল তা আমি পূরন করতে পেরে খুব আনন্দ বোধ করছি । তবে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি সে বিষয়টি মঙ্গল ।’
বার্তা কক্ষ