ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহফুজুল হক বলেছেন, ‘গত দুই বছর ফরিদগঞ্জ পৌরসভা ও ভাটিয়ালপুর কোরবানী পশুরহাটে সুন্দর ব্যবস্থাপনার কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা সবার আস্থা ফিরেছে। অতীতে বাজার ইজারাদররা বেপারীদের সাথে খারাপ আচরণ করতো। যার কারণে বেপারীরা ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু আল্লাহর রহমতে ইজারাদার ও সংশ্লিষ্টদের চেষ্টায় সেই দুর্ণাম দূর করতে পেরেছি’।
বৃহস্পতিবার (৯ আগষ্ট) দুপুরে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ২০১৮ সালে কোরবানী পশুর হাটের ইজারার দরপত্র যাচাই বাছাইকালে এসকল কথা বলেন পৌর মেয়র মাহফুজুল হক।
তিনি আরো বলেন, ‘কোনভাবে যেনো বাজারের সুনাম নষ্ট না হয় ইজারাদারকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখার জন্যে অনুরোধ করছি। গরু ব্যবসায়ীদের সাথে খারাপ আচরণ করা যাবে না। এছাড়া ফরিদগঞ্জ বাজার ও ভাঁটিয়ালপুর বাজার ছাড়া পৌরসভার অন্যকোথাও গরু ছাগলের কোন হাট বসানো যাবেনা’।
এদিকে সর্বোচ্ছ দাম দিয়ে ৩জন দরপত্রদাতার মধ্যে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫’শ টাকায় ফরিদগঞ্জ বাজারের ইজারা পেয়েছেন পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম পাটওয়ারী এবং ২টি দরপত্রের মধ্যে সর্বোচ্ছ ৭১ হাজার ৫’শ টাকায় ভাঁটিয়ালপুর বাজার ইজারা পেয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহাবুব আলম।
টেন্ডার বাক্স খোলা ও দরপত্র যাচাই বাছাই এর সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর সচিব মো. খোরশেদ আলম, কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, মো. মহসিন তালুকদার, আব্দুল মান্নান পরান, পৌর আ’লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন রতন, স্থানয়ী সাংবাদিক ও দরপত্রে অংশগ্রহণকারীরা।
প্রতিবেদক : আতাউর রহমান সোহাগ