আগামী এক মাসের মধ্যে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিলের কপি বাংলা ভাষায় করা এবং তাতে সরকারের উন্নয়নের তথ্যাদি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে সব বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা গ্রাহকদের ইংরেজি ভাষায় বিদ্যুৎ বিলের কপি দিচ্ছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বাংলা ফরমেটে নমুনা করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সব বিলের কপিতে ‘বিদ্যুৎ খাতে উদ্ভাবনী উদ্যোগ’ এবং ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ ব্র্যান্ডিং লোগো হিসেবে যুক্ত করা হবে।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোছা. মাকছুদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। দেশে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি রয়েছে। এদের মোট গ্রাহক প্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ। কোম্পানিগুলো পৃথক ফরমেটে বিল করে থাকে। এর মধ্যে কিছু কোম্পানি বাংলা আর বাকিগুলো ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করছে। বৈঠক সূত্রমতে, সব বিতরণ কোম্পানির বিলের ফরমেট একই রকম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে কোম্পানিগুলো নানা উপায়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে মিটার ভাড়া আদায় করছে। এটিসহ অন্যান্য চার্জ আদায় করা অনৈতিক বলে মন্তব্য করেছেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) আহ্বায়ক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে গ্রাহকদের কাছ থেকে মিটার ভাড়াসহ নানা ধরনের চার্জ আদায় করা হচ্ছে। অধিকাংশ গ্রাহকের কাছেই বিষয়গুলো স্পষ্ট নয়। একবার মিটার বসিয়ে সারা বছর ধরে ভাড়া আদায় করা প্রতারণার শামিল বলে মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড আবাসিক গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ১০ টাকা করে মিটার ভাড়া নিয়ে থাকে। শিল্প কারখানার ক্ষেত্রে সেটি ১০০ টাকা। ডিপিডিসি প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রে সিঙ্গল ফেজ প্রতিমাসে ৪০ টাকা, থ্রি ফেজ ২৫০ টাকা করে নেয়। ডেসকো সিঙ্গল ফেজ ১০০ টাকা এবং থ্রি ফেজ মিটারে ১২০ টাকা করে আদায় করে।
:আপডেট সময় ১০:৫০ ১৭ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার
কে এইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur