চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে কোন ভাবেই কমছে না রোগীর চাপ। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। হাসপাতালের বেডের চেয়ে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি বলে জানা গেছে। ভর্তি ছাড়াও হাসপাতালের আউট ঢোরে প্রতিদিন অনেক রোগীরা চিকিৎসাসেবার জন্য ভিড় জমাতে দেখা গেছে।
বর্ষা মৌসুমে রোদ বৃষ্টির বৈরি আবহাওয়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৭ জুলাই থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত এ ৩’দিনে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে।
আর এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরা। তারপর থেকে এখনো প্রতিদিন চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানের মানুষজন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে একর পর এক হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই ক্ষনে রোদ, ক্ষনে বৃষ্টি এমন আবহাওয়ার কারনে জ্বর, সর্দি, কাশি, বমি ,পেটব্যথা, পাতলা পায়খানা,
কিংবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও শিশুসহ অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে অনেকে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়িতে চলে যান বলে জানা গেছে।
গত কয়েকদিন ধরে সরকারি হাসপাতালের ২য়, ৩য়, ও ৪র্থ তলার শিশু, পুরুষ ও মহিলা বিভাগে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় ওইসব বিভাগের বেডে এবং মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা সেবার জন্য রোগীরা শুয়ে আছেন। সবগুলো বিভাগের ওয়ার্ডের সব ক’টি বিছানা ও মেঝের বিছানা পরিপূর্ন হয়ে অনেক রোগীর জন্য বাহিরের বারান্দায় বিছানা পাতা হয়েছে।
খবর নিয়ে জানাযায় চাঁদপুর জেলা শহরে কখনো কড়া রোদ কখনো বৃষ্টি, এমন গরম ও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত কয়েকদিনে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে একর পর এক রোগী ভর্তি হচ্ছেন। রোববার দুপুরেও হাসপাতালের টিকেট কাউন্টারের সামনে শত শত রোগীদেরকে টিকেটের জন্য ভিড় জমাতে দেখা গেছে।
সর্বশেষ রোববার দিন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সর্বমোট ৩,শ, ৯৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। যেখানে হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ২,শ ৫০ টি সেখানে হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছে তার দ্বিগুন। তাই এসব রোগীদেরকে বিছানা এবং চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালের ডাক্তার নার্স ও আয়ারা।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এমও) ডাঃ আসিবুল আহসান চৌধুরীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন আবহাওয়ার কারনে মানুষজন বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। দেখাযায়, কখনো প্রচন্ড রোদ, আবার কখনো বৃষ্টি এমন আবহাওয়ার কারনে মানুষজন জ্বর, সর্দি, কাশিতে বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তাছাড়া যারা একটু উঠতি বয়সী তাদের ক্ষেত্রে পেটব্যথা অথবা পাতলা পায়খানাটা একটু বেশি দেখা দেয়। তিনি বলেন, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি ছাড়াও অনেক রোগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আউট ঢোর থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি