চাঁদপুর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা রোববার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান।
সভার শুরুতেই বিগত সভার কার্যবিবরণ পাঠ, সিদ্ধান্ত এবং এর অগ্রগতি তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ. শওকত ওচমান।
পরে উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে জেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড, সমস্যা এবং সম্ভাবনার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর আনসার বিডিপি’র কমান্ডেট আজিম উদ্দিন, স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত নারী মুক্তিযুদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. মো. আনোয়ারুল আজিম, সিভিল সার্জন ডা. মো. সাইদুজ্জামান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকির।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, চাঁদপুর সড়ক বিভাগের যেসব সড়কের কাজ চলমান রয়েছে সেগুলো দ্রুততার সাথে শেষ করা, শহর রক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার অংশের ভাঙ্গন রোধে সকল ব্যবস্থা নেয়া, চাঁদপুরে সকল সরকারি বিভাগের অনলাইন প্রোর্টালগুলো আপডেট করা, সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড বিলবোর্ড বা ব্যানারের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা আনা,
জনস্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক চাঁদপুর শহরের কালিবাড়ি এবং বাসষ্টেশন এলাকায় দু’টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা। এছাড়াও চাঁদপুরের ড্রিংকিং ওয়ার্টার পরিবেশক ও শহরের ওয়ারলেস এলকার জলাবদ্ধতা সৃস্টিকারি মৎস ব্যবস্থায়ীদের বিরুদ্ধে মোবাইলকোর্ট করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে প্রচুর উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে। সরকারের প্রতিটা বিভাগে দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন হয়েছে। অথচ সাধারণ মানুষ মনে করছে কোনো কাজ হয়নি।
তাই সকারের সকল উন্নয়ন কাজগুলো শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে বিলবোর্ড বা ব্যানারের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। প্রটিতি বিভাগের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচার করতে হবে। আমাদের মাঝে দেশপ্রেম এবং দেশের প্রতি মমতাবোধ থাকতে হবে। যার যার দায়িত্ব থেকে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, চাঁদপুরে সরকারি বিভিন্ন বিভাগের অনলাইন প্রোর্টালগুলো এখনো শতভাগ আপডেট হয়নি। এখন থেকে প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে স্ব স্ব দপ্তরে তথ্য অনলাইনে জমা দিতে হবে। যেসব স্থানের সড়কের সংস্কার চলছে তা দ্রুততার সাথে শেষ করতে হবে। কারণ মানুষ সমস্যা থেকে পরিত্রান চায়। আর সড়কের ছোট ছোট সমস্যাগুলোকে আগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরের বিভিন্ন গ্রাম বা চরাঞ্চলে এখনো শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করা হয়নি। এলজিএসপির মাধ্যমে আমাদের কাছে ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে। আমি চাই এই পুরো টাকাটা স্যানিটেশনের জন্যে খরচ করা হোক।
দয়া করে চাঁদপুরের একটি জায়গাও যেনো স্যানিটেশন বিহীন না থাকে। আর চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র কালিবাড়ি ও বাসস্টেশনে কোনো পাবলিক টয়লেট নেই। এটি দুঃখজনক। দুু’টি স্থানে পাবলিক টয়লেট করার জন্য জনস্বাস্থ্য বিভাগ ব্যবস্থা নিবেন।
চাঁদপুরে ওয়াটার ড্রিংকিং কোম্পানীগুলো যদি নি¤œমানের পানি পরিবেশন করে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা প্রয়োজন। কারণ খাবার পানির জন্যই মানুষ বেশীরভাগ অসুস্থ হয়। শহরের ওয়ারলেছ মোড় এলাকায় মৎস্য ব্যবসায়ীদের কারনে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজল চন্দ্র দাস, চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান, সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান,
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. সফিউদ্দিন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম ইকবাল প্রমুখ। এসময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বরত প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur