একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে একটু মাথা গোজার আশ্রয় চান চাঁদপুরের পুরান বাজার মধ্য শ্রীরামদীর স্বামী ও পিতৃহারা অসহায় খোদেজা বেগম।
সামন্য জমিতে ছোট্ট একটা ঘর থাকলেও সেটি ঝড়ে ভেঙ্গে যায়। টাকার অভাবে আজো তা মেরামত করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। ফলে খোলা আকাশের নিচেই জবোথবো কোন রকম রাত পার করছেন খোদেজা বেগম।
চাঁদপুর পুরান বাজার মধ্য শ্রীরামদী ওচমানিয়া মাদ্রাসার পেছনে মেয়র রোড নামক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খোদেজার বসবাস। যে কিনা জন্মদাতা পিতা সবর খান ওরফে ভোলা মিয়াকে ৭ বছর আগেই হারিয়েছেন । আর স্বামী হয়তো বা জীবত থেকে তার কাছে এখন মৃত।
কয়েক বছর আগে স্বামী সেলিমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বড় স্বপ্ন নিয়ে সংসার পাতেন খোদেজা। তার কোল জুড়ে আসে সাড়ে ৩ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে একসময় ওই সাড়ে ৩ বছর বয়সী শিশু সন্তানকে রেখে তার স্বামী সেলিম মিয়া নিখোঁজ হয়ে যায়।
যার আজো কোন সন্ধ্যান মেলেনি। তারপর থেকে পুরান বাজার মধ্য শ্রীরামদী এলাকায় বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করে চলতে থাকে তার সংসার জীবন। দৈনন্দিন জীবনে মাথা গোজার জন্যে বাবার রেখে যাওয়া ছোট্ট একটা ছাউনির মতো ঘর থাকলেও সেটি এবার ঈদুল ফিতরের আগের দিন রাতে ঝড়ে ভেঙ্গে পড়ে যায়।
আর সেই থেকে খোদেজা বেগম তার সাড়ে ৩ বছর বয়সী শিশুসন্তানকে নিয়ে ভেঙ্গে পড়া ওই ঘরটিতেই কোন রকম রাত কাটাচ্ছেন। সাম্যর্থ না থাকায় এতগুলো দিন পার হয়ে গেলেও শুধুমাত্র টাকার জন্য তার ঘরটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
এমন কোন ব্যাক্তি কিংবা সামজিক কোন সংগঠনও খোদেজার ঘরটি মেরামত করার জন্য কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেননি। তাই খোদেজা বেগম যাতে মানুষের বাসায় কাজ করে দু’বেলা খেয়ে পরে তার শিশুসন্তানকে নিয়ে এ ঘরটিতেই রাত কাটান।
শিশু সন্তানকে নিয়ে বসবাসের জন্যে তার ভেঙে পড়া ঘরটি মেরামত করতে জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন অসহায় খোদেজা বেগম।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি