মাছ ধরার উপকরণ হিসেবে চাই, আন্তা বহুদিন যাবৎ আমাদের দেশে ব্যবহার হয়ে আসছে। অঞ্চল ভেদে চাই, আন্তা বিভিন্ন নামে ব্যবহার হয়।
বর্ষা মৌসুমে খাল-বিল, নদীর মোহনায় পানির নীচে মাছ চলাচলের পথে তা পেতে রাখা হয়। ফলে অনায়াসে চাইয়ে মাছ আটকিয়ে যায়। চাই দিয়ে বড় মাছ অন্য দিকে আন্তা দিয়ে ছোট মাছ ধরা হয়।
চাই বা আন্তা তৈরি পেশায় জড়িতদের বর্তমানে করুন অবস্থা। পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের সবাই বর্ষার মৌসুম শুরু হওয়ার আগ থেকে চাই, আন্তা তৈরীতে ব্যস্ত থাকে। দেশীয় প্রজাতীর বিভিন্ন ছোট-বড়মাছ ধরতে চাই বহুদিন থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে।
চাই তৈরি করতে বাঁশ, বেত, লতা ও প্লাষ্টিক প্রয়োজন হয়। উৎপাদিত পন্যের চাহিদা ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। ফলে এ শিল্পের সাথে জড়িতদের জীবন জীবিকা বড়ই হতাশাজনক।
কারেন্ট জাল, ভেসাল জাল ব্যবহার হওয়ায় দেশীয় প্রজাতীর মাছ বড় হওয়ার আগেই ধরা পড়ায় মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া খাল ভরাট হয়ে মাছ চলাচলের অবাধ বিচরণ ক্রমান্ময়ে কমে আসছে।
রোববার (৮ জুলাই) কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের ৯০ বছর বয়স্ক বিদ্যাসুন্দর ও প্রজনাথ নামে এ শিল্পের দুজন কারিগরের দেখা মিলে। তাদের সাথে কথা হলে এ বিষয়ে তারা বলেন, আমাদের বংশ পরম্পরায় এ কাজ করে আসছি।
বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে বড়ই কষ্টে দিনাতিপাত করছি। সংসারের নিত্য দিনের খোরাক জোগান দিতেই হিমসিম খাচ্ছি। ফলে বাধ্য হয়ে এ পেশার মানুষ অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে।
এ শিল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে কচুয়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাসুদুল হাছান বলেন, আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারে রাখতে এ শিল্পের সাথে জড়িতদের টিকিয়ে রাখা দরকার।
প্রতিবেদক : জিসান আহমেদ নান্নু
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur