ফ্যাশনের এই দুনিয়া নিজেকে সুন্দর দেখাতে কে না চায়। তাই নিজেকে সুন্দর দেখাতে নারীদের তুলনায় পিছিয়ে নেই পুরুষরা। অনেক পুরুষ আছেন তাদের প্রিয় তারকারকে অনুসরণ করে দাড়ি রাখেন।
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দাড়ির প্যাশনে এসছে নানা বৈচিত্র্য। তবে ফ্যাশন করুন আর যা ভেবেই দাড়ি রাখুন না কেন জেনে রাখা ভালো দাড়ি রাখা শুধু ফ্যাশনের সঙ্গে যুক্ত নয়। এটি যুক্ত আপনার স্বাস্থ্যের সঙ্গেও। পুরুষের দাড়ি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।
আসুন জেনে নেই কেন দাড়ি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
অ্যালার্জি
পুরুষদের মধ্যে যাদের ধুলোবালি এবং রোদে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের জন্য দাড়ি রাখা অনেক উপকারী। এতে করে মুখের ত্বক সরাসরি ধুলোবালি এবং রোদের সংস্পর্শে আসে না। সুতরাং, অ্যালার্জি-সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শেভিং ও র্যাশ
অনেকের ত্বক খুব সেনসিটিভ হয়ে থাকে। তারা যদি বারবার শেভ করেন তাহলে ত্বকের সেনসিটিভিটির কারণে শেভিং র্যাশের সৃষ্টি হয়। দাড়ি রাখার অভ্যাস এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
স্কিন ক্যানসারের
সরাসরি রোদ ত্বকে লাগা, শেভ করার সময় ও শেভ করার পর নানা ধরনের কেমিক্যাল জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ইত্যাদি স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।
ব্রণের ঝামেলা
পুরুষের ত্বকেও ব্রণ ওঠে থাকে। শেভ করার প্রোডাক্ট ও ধুলোবালি এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। যারা দাড়ি রাখেন তারা নিয়মিত দাড়ির যত্ন নিলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই।
বয়সের ছাপ
যারা দাড়ি রাখেন তাদের ত্বকে বয়সের ছাপ ধীরে ধীরে পড়ে। ডারম্যাটোলজিস্ট ড. অ্যাডাম ফ্রাইডম্যান বলেন, ‘মুখের ত্বক দাড়ি দিয়ে ঢাকা থাকার ফলে সূর্যের আলোর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয়। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হয়, রিংকেল পড়ে অনেক দেরিতে। সুতরাং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেরি হয়’।
অ্যাজমার
গবেষণায় দেখা যায় দাড়ি রাখা নাকেমুখে ক্ষতিকর ধুলোবালি ঢুকতে বাধা প্রদান করে। ফলে ডাস্ট মাইট যার ফলে অ্যাজমার প্রকোপ বৃদ্ধি পায় তা অনেকাংশে কমে আসে। এতে করে অ্যাজমা-সংক্রান্ত ঝামেলা থেকেও মুক্ত থাকা সম্ভব হয়।