ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে অবস্থিত মনতলা হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে অফিস সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবরে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী রাশেদ পাটোয়ারী নিজ স্বাক্ষরিত পত্র গত ২৫ মে প্রেরন করেছেন বলে তিনি জানান।
উক্ত লিখিত পত্র ও বিদ্যালয় সৃত্রে জানা যায় য, ১৫ মে মনতলা হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে একজন অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অফারেটর পদে ১০ জন আবেদনকারী প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। এতে কামরুন্নাহার রুজি ও রাশেদ পাটওয়ারী সমান অবস্থানে থাকায় নিয়োগ বোর্ড কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সাংসদ ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভৃঁইয়ার সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ওই দিন কোন ফলাফল ঘোষনা না করে পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে মর্মে ফলাফল ঘোষনা করেনি।
উক্ত নিয়োগ বোর্ডে জিডি’র প্রতিনিধি ছিলেন চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসৈাম কাজল বিএসসি, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশীদসহ ৭ জন। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থের আদান-প্রধানের অভিযোগ উঠে।
প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশীদ পরীক্ষার পূর্বে রাশেদ পাটওয়ারী’র সাথে গোপনে তিন লক্ষ টাকা চুক্তিনামা হয়েছে বলে উক্ত লিখিত অভিযোগে ওই প্রার্থী সভাপতি’র কাছে উল্লেখ করেছেন। এতে আরো উল্লেখ আছে প্রার্থী রাশেদ নিজেই তার চুক্তি অনুযায়ী কেন তাকে নেওয়া হচ্ছেনা এর মর্ম জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক উল্টো তার বিরুদ্ধে আরো দুইজন প্রার্থী অনিয়মের অভিযোগ করেছেন বলে পত্র দুইটি হাতে দেন। নতুন করে এ সমস্যার কারনে নাকি প্রধান শিক্ষক হারুন আরো ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা দাবি করেন।
এদিকে প্রার্থী রাশেদ পাটওয়ারী গোপনে খবর নিয়ে জানতে পারেন কামরুন্নাহার নামে এক প্রার্থীর কাছ থেকে চার লাখ টাকার বিনিময়ে প্রথম স্থানে এনে দেন। যে কারনে রাশেদ পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে লিখিত পরীক্ষার অনিয়মের সুযোগ এনে অপর দুই প্রার্থী রিপন ও আলীর নামে পত্র দু’টিতে প্রধান শিক্ষকের একই স্বাক্ষরের মিল রয়েছে বলে দাবি করে রাশেদ আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক নিজ খাম-খেয়ালিভাবে প্রতিষ্ঠান চালাতে চায়। আমার সাথে প্রধান শিক্ষক প্রতারণা করেছেন, যে কারনে আমি সভাপতি বরাবর উক্ত অভিযোগুলোর বাস্তব প্রমান তুলে ধরেছি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশীদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনেকে নানা অভিযোগ উঠিয়েছে, কিন্তু তাতে আমার কোন অসুবিধা নেই। বিদ্যালয়ের সভাপতি বরাবর আমার বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ গেছে কিনা তাও আমার জানা নেই। তবে আমি প্রথম স্থানে কামরুন্নাহার নামে এক প্রার্থী রয়েছে তার বিষয়ে মতামত দিয়েছি এটা সত্য তবে রাশেদ পাটওয়ারী নামে ওই প্রার্থী’র কাছ থেকে কোন অর্থ নেইনি।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট