প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে কলকাতা নাইট রাইডার্স
৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় রাজস্থান রয়্যালস
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স
কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে টানা সাত মৌসুম, কম তো আর নয়। ফলে কলকাতার দলটির হয়ে কত স্মৃতিই না লেখা আছে সাকিব আল হাসানের হৃদয়ে। পেশাদারির খোলসে যতই নিজেকে গুটিয়ে রাখুক না কেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার, একটু হলেও পুরোনো দলের জন্য মনটা তো কাঁদে। কিন্তু আইপিএলের ফাইনালে খেলতে চাইলে এসব স্মৃতি ভুলে যেতেই হবে সাকিবকে। কারণ, ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শুক্রবার তাঁর পুরোনো দল কলকাতার বিপক্ষেই নামতে সাকিবের বর্তমান দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। অন্যভাবে বললে, এই তো সুযোগ, কলকাতার বিপক্ষে সাকিবের দেখিয়ে দেওয়ার।
হারলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। আর জিতলে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামতে হবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে। এমন সমীকরণ নিয়ে আজ মাঠে নেমেছিল কলকাতা ও রাজস্থান। ২৫ রানে ম্যাচ জিতে নিয়েছে কলকাতা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে তারা। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় রাজস্থান।
ইডেন গার্ডেনে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজস্থান অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। বল হাতে প্রথমে চেপে ধরে অধিনায়কের সিদ্ধান্তটা যথার্থ হিসেবেই প্রমাণ করেছিলেন বোলাররা। কিন্তু ম্যাচের সময় গড়ার সঙ্গে কলকাতা অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক ও আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে ভর করে ১৬৯ রান তোলে তারা। ৩৮ বলে ৫২ রান করেছেন কার্তিক ও ২৫ বলে ৪৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান রাসেল। তাঁর অপরাজিত ঝকঝকে এই ইনিংসে ছয় আছে পাঁচটি।
ঘরের মাঠে কলকাতার শুরুটা হয়েছিল সাদামাটা। ওপেনিংয়ে নেমে সুনীল নারাইন ৪ ও ক্রিস লিন ১৮ রানে সাজঘরে ফিরে যান। তিন ও চার নম্বরে নামা রবিন উথাপ্পা ও নীতিশ রানা দুজনেই ফেরেন মাত্র ৩ রান করে। এই ইনিংসটাকেই কিনা শেষ পর্যন্ত বড় করে তুলেছেন কার্তিক ও রাসেল।
১৭০ রানের জবাবে দুর্দান্ত শুরু করেছিল রাজস্থান। তাদের ব্যাটিং দেখে মনেই হয়নি দলে নেই তাদের মারকুটে ব্যাটসম্যান জস বাটলার। প্রথম ৫ ওভারেই ওপেনিং জুটিতে অজিঙ্কা রাহানে ও রাহুল ত্রিপাঠি তুলে নেয় ৪৭ রান। ষষ্ঠ ওভারে এসে ত্রিপাঠিকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন পীযূষ চাওলা। পরে রানের চাকাটা সচল রেখেছিলেন রাহানে। কিন্তু তাঁর ৪৬ রানের ইনিংসটি গিয়েছে বিফলে। ৩৮ বল খেলে ৫০ রান করে আউট হওয়ার আগে লড়াইটা চালিয়ে গিয়েছিলেন স্যামসনও। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেনি তাঁরা।