Home / শীর্ষ সংবাদ / চাঁদপুর জনস্বাস্থ্যের প্রকল্প : ঘণ্টায় ৩ লাখ ৫০ হাজার লিটার পানি শোধন
Pump-

চাঁদপুর জনস্বাস্থ্যের প্রকল্প : ঘণ্টায় ৩ লাখ ৫০ হাজার লিটার পানি শোধন

চাঁদপুরে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জনস¦াস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের বেশ ক’টি জনহিতকর প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।

জনস্বাস্থ প্রকৌশল বিভাগের আওতায় পল্লী অঞ্চলের পানি সরবরাহে গভীর নলকুপ স্থাপন, ৩৫ জেলা শহর পানি সরবরাহের আওতায় ট্রিট্রমেন্ট প্লান্টের ভূ-পৃষ্ঠ পানি শোধনাগার, ভূ-গর্ভস্থ পানি শোধনাগার , প্রাথমিক স্কুলের স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ওয়াশ বøক প্রকল্প, থানা সদর গ্রোথ সেন্টার প্রকল্প, ২ কক্ষ বিশিষ্ট কমিউনিটি ল্যাট্রিন প্রকল্প ইত্যাদি ।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর পৌর সভায় প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে দ’ুটো ভূ- গর্ভস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন্ হয়েছে। প্রতি ঘন্টায় ৩ লাখ ৫০ হাজার লিটার পানি শোধনাগারটিতে গেলো সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল ।

নতুন বাজার ভূ-পূষ্ঠ পানি শোধনাগারটি একই ক্ষমতা সম্পন্ন্ একই অর্থ ব্যয়ে এটিও আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু কথা রয়েছে ।

তার কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা । এ দু’টো ভূ-পৃষ্ঠ পানি শোধনাগার চালু হলে চাঁদপুর পৌরসভার পুরাণ বাজার ও নতুন বাজারের পূর্বাংশের এলাকার আর পানি সমস্যা থাকবে না বলে জনস¦াস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছেন।

কচুয়ার ও হাজীগঞ্জ পৌরসভার প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ঘন্টায় ১ লাখ ৮০হাজার লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন দ’ুটো ট্রিট্রমেন্ট প্লান্টের দ্রæত কাজ চলছে । যা এ অর্থ বছরেই শেষ হবে।

জনস¦াস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ও থানা সদর গ্রোথ সেন্টার প্রকল্পের আওতায় ৪৫ পৌরসভা পানি সরবরাহ প্রকল্প এর বাস্তবায়ন করছে ।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার ওয়াস বøক প্রকল্পের আওতায় ৫০টি স্কুলের স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়নে এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। বিভিন্ন্ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২শ’৭০ টি টিউবওয়েলের কাজ আগামী জুনের মধ্যে সম্পন্ন হচ্ছে।

শাহরাস্তি ও ছেংগারচর পৌরসভার আরো দু’টো পানি ভূ-গর্ভস্থ ২ লাখ ৫০ হাজার লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন পানি শোধনাগার নির্মিত হচ্ছে।

স্যানিটিশন ব্যবস্থা উন্নয়নে চাঁদপুর পৌরসভায় ১টি, ফরিদগঞ্জে ২টি,হাজীগঞ্জে ২টি ও মতলব দক্ষিণে ২ টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ হবে । বি আর ডøবিউ প্রকল্প আওতায় হাজীগঞ্জ ,শাহরাস্তি ও কচুয়ায় ২ হাজার স্যানিটেশন ল্যাট্রিন সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া অব্যহত রয়েছে।

জনস¦াস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুল কবীর চৌধুরী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, এ বিভাগের ২০১৭-১৮ সালের চলমান প্রকল্পগুলো জুনের মধ্যেই শেষ হচ্ছে। দেশের স্যানিটেশনের হার ৯৮ %। চাঁদপুরের গড় হার ৯০ ভাগেরও ওপরে বর্তমানে অবস্থান করছে।

এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শতভাগ স্যানিটেশন বাস্তবায়ন কখনো সম্ভব নয়।’ কেননা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাড়ি-ঘর তৈরি হচ্ছে। যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবারে পরিণত হচ্ছে।’

তাঁর দাবি, ‘স্যানিটেশন সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। এটি এখন একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপলাভ করেছে। দেশের গোটা সমাজ ব্যবস্থায় স্যানিটেশনের ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।’

প্রতিবেদক- আবদুল গনি

Leave a Reply