যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য অপেক্ষমান দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১-এ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সংযুক্ত কোনো ছবি কিংবা পতাকার নকশাও থাকছে না। পতাকার বদলে স্যাটেলাইটের গায়ে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান লেখা থাকবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
তারানা হালিম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে বাংলাদেশের পতাকাওয়ালা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের যে ছবিটি ঘুরছে সেটা প্রকৃত ছবি নয়।
১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের সময় বিকেল ৪টা ১২ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশে এই সময়টি হচ্ছে ১১ মে রাত ২টা ১২ মিনিট থেকে ৪টা ২২ মিনিট। স্পেসএক্স-এর ওয়েবসাইটে দেওয়া এক তথ্যে এ খবর জানা গেছে।’
তারানা হালিম বলেন, ‘আমি যখন স্যাটেলাইটটি সর্বশেষ (নির্মাণ শেষে) দেখতে আসি তখন থ্যালেস অ্যালেনিয়া বলে স্যাটেলাইটের গায়ে নাম লিখে সই করতে। আমি তাদেরকে বলি সই করার একমাত্র অধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কিন্তু তারা আমাকে কিছু একটা লিখতে বলেন। তখন আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে এটি (জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু) হাতে লিখে দেই। সেই লেখাটি স্যাটেলাইটের গায়ে থাকছে।’
তারানা আরো বলেন, ‘যেখানে মানুষ পৌঁছাতে পারে না, যা অসীম মহাশূন্য সেখানেও পৌঁছে যাবে বঙ্গবন্ধুর নাম।
শতভাগ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এবং পরীক্ষগুলোয় সফল হয়েই স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা বলছেন দেরি হয়েছে, তারা আসলে না বুঝেই বলছেন। কারণ কারিগরি বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষাটা আগে।’
কেনেডির স্পেস সেন্টারের ৩৯এ প্যাডে থেকে ৩ দশমিক ৯ মেইল বা ৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অ্যাপোলো বা সাটার্ন ভি সেন্টার থেকে দেখা যাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ উৎক্ষেপণের দৃশ্য। এ ছাড়া সাড়ে সাত মাইল বা ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মেইন ভিজিটর কমপ্লেক্স থেকেও দেখা যাবে একই দৃশ্য। এ জন্য কাউকে কোনো অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে না বলে জানিয়েছে স্পেসএক্স।
তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ