বিয়ের রাতেই স্বামী জানতে পারলেন স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। সম্পর্ক করে বিয়ে। এরপর, স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ আনে স্ত্রীর পরিবার। টাকা চেয়ে চাপ দেওয়া হতে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
অবশেষে কলকাতার দমদম ক্যান্টনমেন্টের শুভঙ্কর ঘোষের পরিত্রাতা কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির নির্দেশেই বিয়ে।
ফুলশয্যার রাতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা শুভঙ্কর ঘোষের স্ত্রী। পরীক্ষার পর জানা যায় স্ত্রী আগে থেকেই অন্তঃসত্ত্বা।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই বাপের বাড়ি চলে যান স্ত্রী। অভিযোগ, গর্ভপাতের জন্য জোর করা হয়। রাজি না হওয়ায় টাকা চেয়ে চাপ দেওয়া শুরু হয়। এরপরই স্বামী শুভঙ্করের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ আনে স্ত্রীর পরিবার।
মামলার কারণে চাকরি চলে যায় শুভঙ্করের। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন দমদমের একটি ক্লিনিকে আগেই পরীক্ষা করা হয়েছিল স্ত্রীর। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী স্ত্রীর পরিবার আগে থেকেই জানত প্রেগন্যান্সির কথা। কিন্তু বারবার আবেদন করলেও ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের সেই রিপোর্ট এক প্রকার জোর করেই আটকে রেখেছিল দমদমের ওই ক্লিনিকটি।
উপায় না দেখে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভঙ্কর ঘোষ। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নির্দেশে সেই রিপোর্ট হাতে পান শুভঙ্কর ঘোষ। সংশ্লিষ্ট ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য কমিশনকেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
প্রেগন্যান্সি রিপোর্টেই প্রমাণিত বিয়ের আগে থেকেই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন শুভঙ্কর ঘোষের স্ত্রী। পুরো ঘটনা ফেব্রুয়ারির হলেও। সম্প্রতি এবার স্ত্রী নির্যাতনের মামলা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন শুভঙ্কর ঘোষ। সেক্ষেত্রে স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের নামে পালটা মামলা দায়ের করার কথা ভাবছেন তিনি।
বার্তা কক্ষ