মতলব দক্ষিণে গতকাল ৩০ এপ্রিল (সোমবার) দুপুরে ১৫ মিনিটের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে মসজিদ, মাদ্রাসা, বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। উড়িয়ে নিয়ে গেছে মতলব কওমী মাদ্রাসার ছাত্রাবাসসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের চাল। এতে মাদাসার ১ শিক্ষক ও ১৩ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
সংবাদ পেয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল ইসলাম ও মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কুতুব উদ্দিন ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
সরেজমিন ও বিভিন্ন এলাকায় খোজ নিয়ে জানা গেছে, ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে কওমী মাদ্রাসার ছাত্রবাসের চাল, এবং গাউছিয়া মার্কেটের আকবর হাজী ,বধুমিয়া ও তাপসের পোষাক তৈরীর কারখানার চাল উড়িয়ে নিয়ে প্রায় ৫শ ও ১ হাজার গজ পূর্বে শরীফ হাজির মার্কেটে ও জহির সরকারের মার্কেটের উপর পড়ে। এতে ওই মার্কেটগুলোর ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়।
মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের চাল উড়িয়ে নেয়ার সময় ছাত্রাবাসে থাকা শিক্ষক মাওলানা শরীফ উল্লাহ (৩৮) ও শিক্ষার্থী লাবিব, নাসির, সিয়াম, শাকিব, আব্দুল্লাহ, জুনায়েত, নাইম, জিসান, জাভেদ, সাইদুল, জাহিদুল, রিফাত আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীদের বয়স আনুমানিক ৮/৯ বছর। আহতদেরকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। শিক্ষক শরিফ উল্লাহ বলেন, এ সংবাদ পেয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল ইসলাম তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং মাদ্রাসার সার্বিক খোঁজখবর নেন।
ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তাদের প্রাথমিকভাবে ধারণা। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে মতলব ষ্ট্যান্ডার্ড এডুকেয়ার একাডেমি, ডিঙ্গাভাঙ্গা জামে মসজিদ ও উত্তর ডিঙ্গাভাঙ্গা ফোরকানিয়া মাদ্রাসাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৮/১০টি ছোট-বড় বসত ঘরের চাল উড়িয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ইয়নিয়নে খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় সহ¯্রাধিক বিভিন্ন জাতের গাছ ও গাছের ডালা ভেঙ্গে যায়। অধিকাংশ আমগাছের আম পড়ে গেছে। অপরদিকে জমির বোরো ধানের তেমন ক্ষতি না হলেও ভূট্টার কিছু ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলেন, তিনি উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন। বোরো ধানের কোন ক্ষতি হয়নি। জমিনে জলাবদ্ধতার কারণে ধান কর্তনে কৃষকদের খরচ বেশি হতে পারে। ভূট্টা গাছ মাটিতে হেলে যাওয়ায় কৃষকদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভূট্টা ফলন ভালো হবে।
প্রতিবেদক : মফিজ মল্লিক