একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত আর কোনো নির্বাচনে এতটা খারাপ ফল হয়নি বিএনপির। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে ভোটে যাওয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা এ নিয়ে হতাশ।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল ও আগে থেকে ব্যালট পেপারে ভোট দিয়ে নির্বাচন নিয়ে প্রহসন করা হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাবনা ও মূল্যায়ন কি- এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিএনপির লাখ লাখ কর্মী-সমর্থকের মনে।
আজ বৃহস্পতিবার কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে আনা হয়। আদালত থেকে হুইল চেয়ারে করে বের হয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিকরা খালেদা জিয়াকে একাদশ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করেন।
খালেদা জিয়া এক কথায় এই প্রশ্নের জবাব দেন। বলেন, নির্বাচন নিয়ে কিছু বলার নেই। এর বেশি তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এর আগে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের যে কক্ষে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মামলা চলছে, সেই কক্ষের বিষয়ে আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া বলেন, এত ছোট জায়গায় মামলা চলতে পারে না। এখানে আমাদের কোনো আইনজীবী বসতে পারেন না। এখানে মামলা চললে আমি আর আদালতে আসব না। ঢাকার ৯নং বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখানে আইনজীবীদের গেট থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। আপনারা সাজা দিলে দিয়ে দেন, তাও আমি এ আদালতে আসব না।
হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করার সময় ভোগান্তির শিকার হন খালেদা জিয়া। এ সময় তিনি বলেন, রাস্তা ছেড়ে দেন। এত লোক কেন? জজের সামনে এত লোক তো থাকার কথা নয়। এত লোকই যদি থাকে, তা হলে আদালতের জায়গা এত ছোট কেন?
এর পর বিচারক এজলাসে উঠতে কিছুটা সময় লাগায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ সিনিয়র আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে কথা বলেন।
এর পর বিচারক এলে আদালত শুরু হয়। এ সময় মওদুদ আহমদ বিচারকের উদ্দেশে বলেন, আমরা বারবার বলেছি- এ জায়গায় অ্যাকোমোডেশন করা হয় না। এখানে কষ্ট হয়।
ব্যারিস্টার মওদুদের কথার সঙ্গে যোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, আদালতে এত লোক থাকলে তাদের বসতে দিতে হবে। আমি বলতে চাই, এ রকম সংকীর্ণ জায়গায় কোর্ট চলতে পারে না। আর যদি এ জায়গায় কোর্ট চলে, তা হলে আমি আর আসব না, যা সাজা দেয়ার দিয়ে দেবেন।
খালেদা জিয়া বলেন, আমার লোকজন আসতে পারে না। এর আগেও আমি বলেছি এ কথা। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদাকে কারাগারে রেখেই গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। নির্বাচনের পরই আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আদালতে হাজির করা হল খালেদাকে। (যুগান্তর)
বার্তা কক্ষ
৩ জানুয়ারি,২০১৯
চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur