নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত মীম আক্তার (২২) নারায়ণগঞ্জের ধর্মপাশা থানার হলুদিয়াকান্দী গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে। ওই ঘটনায় পুলিশ আত্মহননের চেষ্টাকারী স্বামীকেও আটক করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার বিকালে মৃত্যু হয়। সোমবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল উত্তর পাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে।
মীম আক্তারের ঘাতক স্বামীর নাম রেজাউল করিম (২৭)। রেজাউল করিমের বাড়ি জামালপুর জেলার সদর থানাধীন শ্রীবাড়ি গ্রামে। তার পিতার নাম জামালউদ্দিন।
মীম আক্তারের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিন বছর আগে দুইজন প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল উত্তরপাড়া এলাকায় বসবাস শুরু করেন। ২/৩ দিন পূর্বে শিমরাইল উত্তরপাড়া ওয়াসিম মিয়ার ভাড়া বাড়িতে ভাড়ায় উঠেন তারা। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে রোববার দিনগত রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত কোন এক সময়ে মীমকে ঘরের ভেতরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন রেজাউল। স্ত্রীকে হত্যার পর রেজাউল তার পিতাকে ফোন করে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং তার পিতাকে পালিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। এরপর সে নিজেও বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে রেজাউলের পিতা মো. জামাল উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে ছেলের বউয়ের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। এদিকে রেজাউল স্থানীয় সুগন্ধা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ ঐ ক্লিনিক থেকে তাকে আটক করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে রেজাউল করিম মারা যান। পুলিশ নিহত মীমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।