চাঁদপুর কচুয়া উপজেলার পালাখাল গ্রামের নুর হোসেনের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী রুনা বেগম (২২) মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানান গুনজন চলছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়েও এলাকাবাসীর মাঝে যেন কৌতুহলের শেষ নেই।
পরিবারের দাবি মোবাইল মেমোরিতে তার মৃত্যু রহস্য থাকতে পারে। তার মৃত্যুর পর স্বামী পক্ষের লোকজন মোবাইলটি নিয়ে মেমোরি ভেঙ্গে ফেলে শুধুমাত্র হ্যান্ডসেটটি পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গৃহবধু রুনা বেগম বিষপান করলে স্থানীয়রা তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
জানাগেছে, উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের গুলবাহার গ্রামের অধিবাসী মৃত আবুল বাসার মজুমদারের মেয়ে রুনা বেগমের সাথে প্রায় ৪ বছর পূর্বে একই উপজেলার ৪নং পূর্ব সহদেবপুর ইউনিয়নের পালাখাল গ্রামের রুস্তম আলী বাড়ির সাহাব উদ্দিনের পুত্র নুর হোসেনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে নুহাদ (২) নামের একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়।
গৃহবধু রুনা বেগমের ভাই কবির হোসেন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমি নরসিংদীর মাধবদী থেকে এলাকায় আসি। তিনি আরো জানান, আমার বোন বিষপান করে আত্মহত্যা করতে পারে না। এখানে যে কোন রহস্য থাকতে পারে। তাকে শ্বশুর পক্ষের লোকজন বিভিন্ন সময় মারধর করত। এবং রুনা বেগম তিন মাসের অন্তসত্ত্বা ছিল বলে দাবি করেন তিনি।
রুনা বেগমের বড় বোন মাহমুদা বেগম জানান, আমার বোন মৃত্যুর পূর্বে তার ব্যবহৃত মোবাইলটি পুলিশ কিংবা মিডিয়া কর্মীদের দেয়ার জন্য তার পাশ্ববর্তী ঘরের জা ডলি বেগমের কাজে রেখে যায়। কিন্তু ডলি বেগমের কাছ থেকে মোবাইলটি কৌশলে রুনার ভাসুর ইয়াছিন নিয়ে যায়। মোবাইলে থাকা মেমোরীটি ভেঙ্গে ফেলে। ওই মোবাইলে রুনার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য রয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, আমার বোনকে তার শ্বশুর পক্ষ নির্যাতন করে হত্যা করেছে। তবে রুনার স্বামী নুর হোসেন তার সাথে (রুনা) ভালো ছিল বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে রুনা বেগমের ভাই কবির হোসেন ও বোন মাহমুদা বেগম মোবাইল ফোনের সিম উদ্ধার করে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জোর দাবি জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার এসআই মোঃ মনিরুজ¥ামান মনির জানান, খবর পেয়ে আমরা রুনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুরের মর্গে প্রেরণ করি। পরদিন তার লাশ স্বামী পক্ষের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে রুনা বেগমের পরিবারের পক্ষে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে রুনার ব্যবহৃত মোবাইলটি শ্বশুর পক্ষের লোকজন দু’দিন পর থানায় এসে জমা দিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে রুনার বেগমের স্বামী নুর হোসেনের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বার বার ফোন করলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur