গান শুনতে কে না ভালোবাসে। তাই স্মার্টফোনের সঙ্গে এখন বেশিরভাগ মানুষেরই সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে হেডফোন। কানে দিয়ে রাখলে আপনি পুরো জগতের থেকে আলাদা। কিন্তু জানেন কি, হেডফোন যেমন আপনাকে নিজের জগতে বাঁচতে সাহায্য করে, তেমনই শরীরের একটা অঙ্গকে পুরোপুরি বিকল করে দিতে পারে!
ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের (ডাব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হেডফোন কারণে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে কানের। শুধু তাই নয়, সর্বক্ষণের সঙ্গী এই হেডফোনের জন্য আপনি পুরোপুরি বধিরও হয়ে যেতে পারেন।
ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউএইচও) সম্প্রতি এক তথ্য প্রকাশ করেছে। সেই তথ্যে জানানো হয়েছে, ১.১ বিলিয়ন তরুণ যারা প্রায় সারাক্ষণই হেডফোন ব্যবহার করেন, তাদের কানে মারাত্মক হতে পারে।
জানা গেছে, হেডফোনের মাধ্যমে ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এক একটি কোম্পানির হেডফোন এক এক রকমের হয়। কোনওটির আওয়াজ খুব ভাল তো, কোনওটির বেশ অল্প। মাইকের আওয়াজে অসুবিধা হলেও বহু মানুষ হেডফোনের খুবই উচ্চ শব্দে গান শুনতে পছন্দ করেন। আর এখানেই যত গণ্ডগোল। মাইকের শব্দের মতোই হেডফোনের তীব্র আওয়াজও কানের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যক্তি টানা ১ ঘণ্টা ৮৫ ডেসিবেলে গান শোনেন কিংবা মাত্র ১৫ মিনিট ১০০ ডেসিবেলে গান শোনেন, তাহলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে কানের।
যত দিন যাচ্ছে, তত উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। আমরাও নিয়ত ব্যবহার করছি উন্নত প্রযুক্তির সে সব দান। অল্প বয়সী কিশোর কিশোরীদের মধ্যে বেড়ে উঠছে প্রযুক্তির অপব্যবহারের প্রবণতা। প্রত্যেকদিন হেডফোনের ব্যস্ত থাকার ফলে কত দুর্ঘটনার খবর শোনা যায়। তবুও খোলে না আমাদের জ্ঞানচক্ষু। তাই বধির হয়ে যাওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে হেডফোন ব্যবহার বন্ধ নয়, হেডফোনের আওয়াজে লাগাম দিন।
চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur