আমরা পরীক্ষা যাতে নকলমুক্ত হয়, প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয় সেই জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। প্রশ্নফাঁস নিয়ে সত্য-মিথ্যা নানা কথা হয়েছে। এগুলো মোকাবিলা করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। এখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
সোমবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে প্রশ্নপত্রের খাম খুলেন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় শিক্ষা সচিবসহ কলেজের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব পরীক্ষার্থী সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে হলে ঢুকেছে। আমরা ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের খাম খুলেছি। এরপর পরীক্ষার হলে প্রশ্ন বিতরণ করা হয়েছে। এখানে প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
কয়েকজন পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের পরে হলে প্রবেশ করেছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাত্র ১০ জন দেরি করেছে। কেন্দ্রের নিয়মানুসারে তাদের রোল নম্বর ও কলেজসহ সব তথ্য নিয়ে পরীক্ষার হলে পৌঁছে দিয়েছেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন আমাদের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এতো বেড়ে গেছে যে গ্রামাঞ্চলে পরীক্ষার সিট নির্ধারণ করা হয়েছে। সব জায়গায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে যদিও সেটা অনেক কঠিন বিষয় ছিলো। আশা করছি এ বছর প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না। যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমসিকিউ প্রশ্ন বাতিল হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা ও কাজ শুরু হয়েছে। এখানে জনমতের ব্যাপার রয়েছে।
কোচিং সেন্টারগুলো খোলা থাকার বিষয়ে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয় নয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইসিটি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করছে। সবাই খুব সচেষ্ট রয়েছে।
সারাদেশে একযোগে সকাল ১০টা থেকে ২ হাজার ৫৪১টি কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
এ পরীক্ষায় এবার ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে; যা গতবারের চেয়ে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ জন বেশি।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ১০ এ.এম ২এপ্রিল,২০১৮সোমবার
এ.এস