বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। কেউ কেউ তাকে সিনেমার ভয়ঙ্কর পুরুষও বলে থাকেন। কারণ পর্দায় তিনি নেতিবাচক চরিত্র নিয়েই হাজির হন। কিন্তু বাস্তবে তার চরিত্র সম্পূর্ণই আলাদা। একজন ভদ্র মানুষ। বলছিলাম মিশা সওদাগরের কথা। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ‘এবং পূর্ণিমা’ নামের একটি সেলিব্রিটি শো’তে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
আর সেখানেই উঠে আসে মিশা সওদাগরের অভিনয় ও ব্যক্তি জীবনের নানা প্রসঙ্গ। অনুষ্ঠানে পূর্ণিমা মিশাকে প্রশ্ন করেন ‘কার সাথে ধর্ষণ দৃশ্যে অভিনয় করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন আপনি?
উত্তরে মিশা সওদাগর জানান, ‘মৌসুমী ও পূর্ণিমার সাথে’ উপস্থাপিকা পূর্ণিমা হা হা হা করে হেসে ওঠেন। কিন্তু এই প্রশ্নটি নিয়েই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
পরে অবশ্য পূর্ণিমা বলছেন, প্রশ্নের পীঠে এমন প্রশ্নটি মূলত মজা করেই করা হয়েছে। কিন্তু ফেসবুকবাসী তো এটি মানতে নারাজ। তারা সমালোচনায় নেমেছেন আমাকে নিয়ে।
কারণ পূর্ণিমার এমন উত্তর যে পছন্দ হয়নি নেটিজেনদের। অভিনেত্রীকে নিয়ে সমালোচনায় মুখর হওয়া এসব নেটিজেনরা বলছে, এমন এক সময় ‘ধর্ষণ’ শব্দটি নিয়ে এমন প্রশ্ন করা হলো, যখন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্কুলছাত্রী বিউটি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার পর মাঠে পড়ে থাকা তার নিথর দেহ ভেসে বেড়াচ্ছে মানুষের ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে দেশের জনপ্রিয় একজন সেলিব্রেটির ধর্ষণ নিয়ে করা মন্তব্যও এখনও মানুষের কাছে তাজা। তার মধ্যে পূর্ণিমার এমন মন্তব্য হতবাক করেছে দেশবাসীকে।
মামুন নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, মানছি, আমাদের দেশে ধর্ষণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রায় দেশের কোথাও কোথাও এমন ঘটনা শোনা যায়। যাদের শাস্তির দাবিতে মানুষ রাস্তায় আন্দোলনে নামে, বিক্ষোভ-মানববন্ধন করে ‘মানুষরূপী পশুর’ বিচারের জন্য। সেখানে প্রকাশ্যে একজন নারী হয়ে কীভাবে এমন শব্দটি উচ্চারণ করতে পারলেন আমাদেরই একজন প্রিয় অভিনেত্রী, তা আমার বোধগম্য নয়।
মাহিন নামের আরেকজন ফেসবুকে লিখেছেন, পৃথিবী জুড়ে চলচ্চিত্র তারকারা যখন সকল অনৈতিক আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন আমাদের তারকারা চলচ্চিত্র শেষে কুসংস্কারে ডুবে যায়। তেমনি কখন কি বলতে হবে এই রুচিশীলতাটাও নেই ওদের! অদ্ভুত?
বিডি-প্রতিদিন
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ২০ পি.এম ৩১মার্চ,২০১৮শনিবার
এ.এস