সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় হানা দিয়েছে। শুক্রবার (৩০মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় হঠাৎ করে শুরু হওয়া প্রায় একঘন্টা ব্যপী কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে বিভিন্নস্থানে গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে।
কোনো কোনো স্থানে বাসত বাড়ির টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে ঝড়ো বাতাস। ওই সময়ে নদী পথে চলাচলরত বেশকিছু যাত্রীবাহী লঞ্চ এবং ছোটবড় নৌ-যান ঝড়ের কবলে পরে।
এসময় চালকরা দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে নৌ-যানগুলো নিরাপদস্থানে নিয়ে যায়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো প্রাণহানী বা বড় ধরণের দূর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঝড়ের আগেই চাঁদপুরসহ দেশের নদীবন্দরগুলোতে ২নম্বর হুঁশিয়ারি ষংকেত দেখানো হয়েছে।
ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে শুরু হওয়া ধুলো-বালিময় দমকা হাওয়া তান্ডবে চাঁদপুর শহরবাসীর মাঝে ব্যপক আতঙ্ক দেখা দেয়।
হঠাৎ ধূলিবাতাসে চাঁদপুর শহরের রাস্তাগুলোতে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এসময় দমকা বাতাসের সাথে কুলিয়ে উঠতে না পারায় হালকা যান ও মোটরসাইকেল আরোহীকে রাস্তার পাশে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়।
আর সাধারণ পথচারীরা এদিক-সেদিক ছুটোছুটি করে বিভিন্ন দোকান-পাটের ছাউনি বা বিল্ডিংয়ের কার্নিশে আশ্রয় নিয়। তবে ঝড়ো হাওয়ায় সবকিছু লÐভÐ করে দেওয়ার উপক্রম হলেও তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। সন্ধ্যার পরে হলকা বৃষ্টিপাত হলেও রাত বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি কমে আসে।
চাঁদপুর সদর নৌ- পুলিশের ওসি আবুল হোসেন জানায়, চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বোগদাদীয়-৭ ও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ঈগল-৩ লঞ্চটিসহ নদী পথে চলাচলরত বেশকিছু নৌ-যান ঝড়ের কবলে পরে। তাৎক্ষণিক চালকরা বড় ধরনের দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষাপেতে লঞ্চগুলো নিরাপদস্থানে নিয়ে যায়। পরে ঝড় থেকে গেলে লঞ্চগুলো স্ব-স্ব গন্তব্যস্থানের দিকে রওনা দেয়।
চাঁদপুর শহরে ঝড়ে আটকে পরা বেশ ক’জন পথচারি জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হঠাৎ করে আকাশ কালো হয়ে আসে। কিছু বুঝে উঠার আগেই শুরু হয় ধূলিঝড়। মুহূর্তেই যতোদূর দৃষ্টি গিয়েছে শুধু ধুলো-বালি উড়তে দেখা গিয়েছে। উপায়ন্তর না দেখে তারা জীবন বাঁচাতে বিভিন্ন নিরাপদ স্থানের দিকে ছুটে যা।
বিভিন্নস্থান থেকে খোঁজ নিয়ে যানা যায়, ঝড়ো হাওয়ায় শহরের পুরাণবাজারে আমপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী হারুন মাঝির বসতঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছ। জুটমিল সংলগ্ন রাস্তায় একটি বড় গাছ ভেঙ্গে পরেছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্নস্থানে ছোটবড় ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম