উৎসবমূখর পরিবেশে এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্যদিয়ে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও হিন্দু স¤প্রদায়ের পূণ্য অষ্টমী স্নান উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার (২৪ মার্চ) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের পুারণবাজার হরিসভা মন্দির এলাকার মেঘনা নদী পাড়ে অষ্টমীস্নানের কার্যক্রম শুরু হয়।
ভোর থেকে শুরু হওয়া মহাঅষ্টমীর স্নানে বিকেল পর্যন্ত চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সনাতন ধর্মালম্ভী হাজার হাজার নর-নারীরা মেঘনা তীরে ভীড় জমায়। পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোররা দলবলে মহাঅষ্টমী স্নান করতে এই পূণ্যস্থানে ছুটে আসেন। পূর্ণাথীরা ’হে মহাভাগ ব্র²পুত্র; হে লোহিত্য আমার পাপ হরণ কর’ এ মন্ত্র উচ্চারনের মধ্য দিয়ে জগতের যাবতীয় সংকীর্ণতা ও পঙ্কিলতার আবরনে ঘেরা জীবন থেকে পাপ মুক্তির বাসনায় মেঘনা নদীতে ¯œান করেন।
পূর্ণ¯œান উদযাপন উৎসবে আগত ভক্তদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি নরেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেম্বার পরিচালক গোপাল সাহা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কার্তিক সরকার, দপ্তর সম্পাদক রনজিৎ সাহা মুন্না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্সের সাধারণ সম্পাদক উমেস চন্দ্র সাহা, পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আ. রশিদ. এসআই জাহাঙ্গীর আলম, চাঁদপুর দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার নজরুল ইসলাম, শ্রী লোকনাথ ব্রম্মচারী মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিপন সাহার, ব্যাবসায়ী রোটা. সবুজ পোদ্দার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সমাজকল্যান সম্পাদক লিটন সাহা, সহ সমাজকল্যান সম্পাদক লিটন মজুমদার, সহ দপ্তর সম্পাদক গোপাল সাহা, সদস্য প্রদীপ মজুমদার প্রমুখ।
এ সময় পূণার্থীরা স্নানমন্ত্র পাঠপুর্বক নিজ নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী ফুল, বেলপাতা, ধান দুর্বা, হরীতকি, ফল-ফলাদি, আ¤ø ইত্যাদি নিয়ে পিতৃ ও মাতৃকুলে অর্পণ করে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুর জেলায় ঐতিহ্যবাহী পুরাণ বাজার হরিসভা মদন মোহন মন্দির সংলগ্ন মেঘনা নদীর অববাহিকায় প্রতি বছর সনাতন ধর্মীয় এ স্নান অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল থেকে চাঁদপুর শহর ছাড়াও জেলার বাকী ৭টি উপজেলাসহ পার্শবর্তী নোয়াখালী, রায়পুর, ল²ীপুর এলাকার নরনারীরা সিএনজি স্কুটার ও মাইক্রোবাস যোগে ভোর রাত থেকে চাঁদপুরে আসতে শুরু করে।
স্নান শেষে যে যার সাধ্যমত মহাপ্রভুর নামে দান করেছে। ভক্তদের জন্য ইসকন মন্দির, হরিসভা মন্দির, রামঠাকুর দোল প্রাঙ্গন ও লোকনাথ মন্দির প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এদিকে পূণ্যস্নান উপলক্ষে মদন মোহন মন্দির ও সড়কের দু’পাশে বসেছিলো শিশু কিশোরদের জন্য মেলা।
মেলায় মটির তৈরিসহ দেশিয় বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী বিক্রি হয়। সব মিলিয়ে সনাতন ধর্মালম্বিদের এই ¯œানকে ঘিরে পুরাণবাজারে একটি উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়ে থাকে।
প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম