হোয়াইট হাউসের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এ সাক্ষাতে সৌদি যুবরাজকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি করে অস্ত্র কেনা এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের আহ্বান জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, এতে করে মার্কিন জনগণের কর্মসংস্থান হবে। ট্রাম্প আশা প্রকাশ করে বলেন, চমৎকার সামরিক সরঞ্জামের কেনার মাধ্যমে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পদ ভাগাভাগি করে নেবে।
সাক্ষাৎকালে ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের অস্ত্র কেনায় সৌদি আরবের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, সৌদি অস্ত্র ক্রয়ের কারণে শত শত কোটি ডলার ঘরে ফেরাতে সমর্থ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অস্ত্র ব্যবসায় ৪০ হাজার মার্কিন নাগরিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে।
বৈঠকে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার বিষয়টিও উঠে আসে।
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আইএসের শক্তিক্ষয়ের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা আইএস দখলকৃত এলাকার প্রায় শতভাগ পুনর্দখল করে ফেলেছি। আমরা খুব দ্রুততার সঙ্গে অগ্রসর হয়েছি, আর তা সত্যি শেষ হতে চলেছে। আমরা এখন কিছু বিশেষ এলাকা থেকে চলে আসতে পারব। অনেক দিন ধরেই আমরা সেখান থেকে চলে আসতে চাচ্ছি।’ সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘এ কারণেই আমরা এখানে বসেছি। আমরা সব সুযোগ কাজে লাগিয়ে এটা করার পাশাপাশি আমাদের উভয় দেশের জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক হুমকি থেকে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হতেই এখানে কথা বলছি।’
ট্রাম্প ও যুবরাজের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ ও এর অর্থায়ন বিষয়ে কথা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদকে কোনোভাবেই অনুমোদন করা হবে না। সন্ত্রাসবাদের কারণে যেকোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’ ট্রাম্প সন্ত্রাসীদের অর্থ জোগান বন্ধে সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তবে অনেক পর্যবেক্ষক ইসলামের মধ্যে সালাপি আন্দোলনকে সহায়তার জন্য সৌদি আরবের সমালোচনা করে থাকেন। আর ইসলামের মধ্যে সালাপি মতবাদ অনেকটা সহিংস ও চরমপন্থী। ট্রাম্প আশপাশের দেশগুলোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইরানের আচরণের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘ইরানে অনেক খারাপ জিনিস ঘটছে।’
যুক্তরাষ্ট্র সফরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ওয়াশিংটনের বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও রাজস্ব মন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের ছাড়াও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ২০ এ.এম ২২মার্চ,২০১৮বৃহস্পতিবার
এ.এস
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur