Home / চাঁদপুর / স্বাধীনতা পদকে নতুন নাম চাঁদপুরের কৃতি সন্তান শাইখ সিরাজ
Shykh-Seraj

স্বাধীনতা পদকে নতুন নাম চাঁদপুরের কৃতি সন্তান শাইখ সিরাজ

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তদের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরো দুইজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম। তাদের মধ্যে সংস্কৃতিতে আসাদুজ্জামান নূর এবং কৃষি সাংবাদিকতায় স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন শাইখ সিরাজ।

সোমবার (১৯ মার্চ) তথ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দেশের ১৬ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ২০১৮ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে একটি তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

ওই তালিকায় যাদের মনোনীত করা হয় তারা হলেন; স্বাধীনতা ‍ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য প্রয়াত কাজী জাকির হাসান, শহীদ বুদ্ধিজীবী এম এম এ রাশীদুল হাসান, প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরী, এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ বীর উত্তম, প্রয়াত এম আব্দুর রহিম, প্রয়াত ভূপতি ভূষণ চৌধুরী ওরফে মানিক চৌধুরী, শহীদ লেফটেন্যান্ট মো. আনোয়ারুল আজিম, প্রয়াত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, শহীদ আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, শহীদ মতিউর রহমান মল্লিক, শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হক ও আমজাদুল হক।

এছাড়া, চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. এ কে এমডি আহসান আলী, সমাজসেবায় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, সাহিত্যে সেলিনা হোসেন এবং খাদ্য নিরাপত্তায় ড. মো. আব্দুল মজিদ।

স্বাধীনতা পদকের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৩ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

শাইখ সিরাজ বাংলাদেশী সাংবাদিক, কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। শাইখ সিরাজ কৃষি সাংবাদিকতাসহ নানামুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গ্রামীণ জীবনে জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে জনপ্রিয় কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠান মাটি ও মানুষ ও নিজস্ব মালিকানাধীন বেসরকারি টিভি চ্যানেল চ্যানেল আইতে হৃদয়ে মাটি ও মানুষ নামক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন।

শাইখ সিরাজ ১৯৫৪ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর চাঁদপুরে সদরে জন্মগ্রহণ করেন। খিলগাঁও গভঃ হাইস্কুল, নটরডেম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটে তাঁর শিক্ষাজীবন। তিনি ভূগোলে সম্মানসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন।

তিনি ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড চ্যানেল আই’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও বার্তাপ্রধান। তার কৃষিবিষয়ক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় দেশের সব পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে কৃষিভিত্তিক কার্যক্রমের পরিধি বেড়েছে। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন এর মাটি ও মানুষ নামক টিভি প্রোগ্রামের জনপ্রিয় উপস্থাপক ও কৃষি ব্যক্তিত্ব। [৫] উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি ও বিভিন্ন উন্নত চাষ পদ্ধতি, কৃষি ব্যবস্থাপনা, বেকার ও শিক্ষিত যুবকদের কৃষিকাজে উৎসাহিত করা হতো। তিনি ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ নামে চ্যানেল আইতে সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। চ্যানেল আইতে জাতীয় সংবাদে প্রতিদিনের কৃষি সংবাদ চালুর মধ্য দিয়ে তিনিই প্রথম দেশের গণমাধ্যমে কৃষিকে প্রাত্যহিক গুরুত্বের মধ্যে নিয়ে আসেন। এর ধারাবাহিকতায় চ্যানেল আইতে একটি পৃথক ও বিশেষ বুলেটিন আকারে প্রচার শুরু হয় কৃষি সংবাদ।

পুরস্কারের মধ্যে ১৯৯৫ সালে একুশে পদক, ২০০৯ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এএইচ বুর্মা অ্যাওয়ার্ড , বৃটেনের বিসিএ গোল্ডেন জুবিলি অনার অ্যাওয়ার্ড, ২০১১ সালে বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) পদক, একইবছর যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্স পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননা পান।

পড়ুন শাইখ সিরাজের লেখা – ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর