চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালত থেকে চুরি হওয়া নথিসহ ৫ অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
এরমধ্যে মামলায় উল্লেখিত চুরি হওয়া ৩ নথির মধ্যেই দুটিই নষ্ট করে দিয়েছে অভিযুক্তরা। এর আগে আরো ২টি নথি নষ্ট করেছে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
সপ্তাহখানেক ধরে ঢাকা ও চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে ডিবি পুলিশ আটক করে মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) আদালতে প্রেরণ করেছে।
চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ থেকে পাঠানো এক প্রেস বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলেন, চাঁদপুর সদর রামদাসদীর বাসিন্দা ও আইনজীবী সহকারী জিয়াউদ্দিন পাটওয়ারী প্রকাশ ওরফে রিয়াদ, একই উপজেলার পশ্চিম বাগাদী সানোয়ার গাজী বাড়ির আমির হোসেন, বড়স্টেশন চৌদ্দ কোয়াটার এলাকার দেলোয়ার হোসেন সরকারের ছেলে মিলন হোসেন সরকার প্রকাশ আরিফ, পূর্ব জাফরাবাদের শামসুদ্দিন প্রকাশ টেলু পাটওয়ারীর ছেলে সুমন পাটওয়ারী ও সন্দেহভাজন অভিযুক্ত জিটি রোডের আনোয়ার আখন্দের ছেলে সোলায়মান আখন্দ।
মামলা ও তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দু’বেঞ্চ সহকারী গত ২০ ও ২২ ফেব্রæয়ারিতে চাঁদপুর মডেল থানায় নথি হারানোর মামলা দায়ের করেন। আদালত থেকে ৩টি নথি হারিয়েছে বলে আইনজীবী সহকারী জিয়াউদ্দিন পাটওয়ারী প্রকাশ ওরফে রিয়াদকে অভিযুক্ত করে এ মামলা দায়েক করা হয়।
দু’মামলায় চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসানুজ্জামান লাবুকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
তদন্ত শেষে তিনি ও তাঁর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঢাকা ও চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযুক্তদেরকে আটক করেন। এসময় প্রধান অভিযুক্ত রিয়াদের কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়া এসসি-৪৯৩/২০১৭ মামলার নথিটি উদ্ধার। বাকি ২টি নথি সে ধ্বংস করেছে বলে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে জবানবন্দিতে সর্বমোট ৫টি নথি চুরি করেছে বলে প্রধান অভিযুক্ত রিয়াদ গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছে এবং আদালতে ৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে সে তার দোষ স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আহসানুজ্জামান লাবু চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘অভিযুক্তদেরকে রিমান্ডে রেখে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
প্রতিবেদক- দেলোয়ার হোসাইন