চাঁদপুর শহরের ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র পালবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৩০ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ৫কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। সোমবার (১২ মার্চ) সকাল ৬টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ৩ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাজারের বকুলতলা রোডে বাসু ছৈয়ালের মুদি দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা আরো ক’টি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর দুটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে এসে প্রায় দু’ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে যাওয়া অধিকাংশ দোকানই ছিলো পাইকারী চাল, ডাল ও ডিমের আড়ত, মুদি ও কনফেকশনারী।
ব্যবসায়ী মুকবুল হোসেন জানান, বাজারের বকুলতলা রোডে বাসুর দোকানে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহুর্তেই অন্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন চেষ্টা করলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পরে দমকল বাহিনীকে খবর দেয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরই মধ্যে ৩০টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া বেশ কিছু ছোট দোকানের আংশিকও পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন- নুরুল ইসলাম,মজিবুর রহমান, বোরহান, হাবীব, হাসান খান, হারুন পাটওয়ারী, আমিন মাতাব্বর, মোক্তার আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম, মুকবুল হোসেন, শাহজাহান গোলদার, মনির জমাদার,মিজান জমাদার, মান্নান গাজী, আহম্মদ উল্যাহ, ফরিদ জমাদার, বাসু সৈয়াল, হাবিবুর রহমান, রফিক জামাদার, আব্দুল মান্নান, শাহাদাত হাওলাদার, শামছুল হক পাটওয়ারী, হাবিব গাজী, সফিকুর রহমান গাজী ও মো. কামরুল ইসলাম। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশিরভাগই সবজি,ডিম, মুদি ও কনফেকশনারী।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস (উত্তর) স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফারুক আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে ১০ মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলের কাছাকাছি উপস্থিত হই। কিন্তু বাজারে গাড়ি ঢোকার মত অবস্থা না থাকায় কিছুটা দেরি হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরের পুরানবাজার স্টেশনসহ চারটি ইউনিট কাজ করে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে নির্ধারণ করা হবে।
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:৪০ পিএম,১২ মার্চ ২০১৮,সোমবার
এজি