বাংলাদেশের ক্রিকেটে মুস্তাফিজুর রহমানের আবির্ভাব অনেকটা ধূমকেতুর মতোই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকেই চমক দেখিয়েছেন এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার। জাতীয় দলে তো বটেই, ভারতের ঘরোয়া টি- টোয়েন্টি লিগ আইপিএলেও ২০১৬ সালে নিজের প্রথম আসরেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৭ উইকেট নিয়ে চমকে দেন সবাইকে।
তবে সেই আইপিএলেই ইনজুরির শিকার হন এই তরুণ তারকা। এরপর ইনজুরি বেশ ভালোই ভুগিয়েছে তাঁকে। ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরলেও কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না ফর্মহীনতা। তবে এবার ফর্মে ফিরে এসেছেন মুস্তাফিজ। অবশ্য ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে বেশ ভালো বোলিং করেই। এবার পাকিস্তান সুপার লিগেও লাহোর কালান্দার্সের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন তিনি। বল হাতে ২২ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। যদিও মুস্তাফিজের দল ম্যাচটিতে হেরে যায়।
শুরুতেই ব্যাট করতে নেমে মুস্তাফিজের প্রতিপক্ষ দল মুলতান সুলতানস কুমার সাঙ্গাকারা ও শোয়েব মালিকের ব্যাটে ভর করে ১৭৯ রানের বড় সংগ্রহ পায়। সাঙ্গাকারা ৪৪ বলে ৬৩ এবং শোয়েব ২৮ বলে ৪৮ রান করেন। ম্যাচের শুরু থেকে আগ্রাসী ভূমিকায় খেলতে থাকে মুলতানস। তাদের রানের গতিতে লাগাম টানতেই ম্যাচের পঞ্চম ওভারেই লাহোর অধিনায়ক আক্রমণে নিয়ে আসেন মুস্তাফিজকে। এই ওভারে মুস্তাফিজ ১০ রান দিয়ে ফেলেন।
ম্যাচের ১১তম ওভারে আবারও আক্রমণে আসেন মোস্তাফিজ। এবার প্রথম বলেই তাঁর শিকার হন দারুণ খেলতে থাকা আহমেদ শেহজাদ। ওই ওভারে ৫টি ডট বল হজম করতে হয় মুলতানসকে। ম্যাচের ১৭ তম ওভারে মোস্তাফিজ ১০ রান দিলেও তুলে নেন সাঙ্গাকারার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
ম্যাচের ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজকে খেলতে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয় মুলতানসের ব্যাটসম্যানদের। ওই ওভারে আসে মাত্র ৩ রান। সব মিলিয়ে চার ওভার বল করে ২২ রানে ২ উইকেট পান এই ফাস্ট বোলার।
লাহোরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৭.২ ওভারে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় লাহোরের ইনিংস। ফলে ৪৩ রানের বড় জয় পায় মুলতানস। বাঁহাতি পেসার জুনায়েদ খান ও লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরের দারুণ বোলিংয়ে লাহোরের শেষ সাত উইকেটের পতন ঘটে মাত্র চার রানে। জুনায়েদ খান হ্যাটট্রিকসহ ২৪ রানে তুলে নেন কিন উইকেট। ইমরান তাহির তিন উইকেট পান ২৭ রানে। (এনটিভি নিউজ)
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:২০ পি.এম ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শনিবার।
কে এইচ.
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur