বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য জেলে ডিভিশন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা। এ বিষয়ে রোববার বেলা ১১টায় শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কারাগারে তাকে সাধারণ কয়েদি হিসেবে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির।
গতকাল শনিবার কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেয়া হয়নি। তাকে একজন সাধারণ কয়েদি হিসেবে রাখা হয়েছে। নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে নেত্রীকে। সেখানে অন্য কোনো কারাবন্দি নেই। এটি অন্যায়, আমরা এ বিষয়ে আদালতে যাব।
এর পর আজ আদালতে খালেদা জিয়ার জন্য জেলে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করা হল।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
এ ছাড়া একই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।
রায়ের পর পরই খালেদা জিয়াকে আদালতের পাশে নাজিমউদ্দিন রোডের লালদালানখ্যাত ২২৮ বছরের পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০১৬ সালের ২৯ জুন থেকে ছয় হাজার ৪০০ বন্দিকে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ার রাজেন্দ্রপুরের নতুন কারাগারে স্থানান্তর করে পুরান কারাগার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দুই বছর চার মাস ১০ দিন পর দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে এই পরিত্যক্ত কারাগারেই দিন পার করছেন খালেদা জিয়া।
(যুগান্তর )
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০: ৫৫ এ.এম, ১১ ফেব্রুয়ারি২০১৮,রোববার ।
এএস.