রুটি খেলে নাকি পেট পরিষ্কার হয়। রুটি খেলে নাকি ওজন বাড়ে না। এমনকী রুটি খেলে নাকি বদহজমও হয় না। এ ধারণাগুলি কি ঠিক? নাকি আসল সত্যিটা আমরা কেউই জানি না?কোন খাবারটা স্বাস্থ্যকর, কোনটা নয়, সে সম্পর্কে হওয়া একাধিক গবেষণায় রুটি সম্পর্কে যে তথ্য উঠে এসেছে তা বাস্তবিকই চমকপ্রদ, যা জানলে রুটি সম্পর্কে আমাদের ধারণা একেবারেই বদলে যাবে। চলুন জানা যাক রুটির নানা অজানা দিক সম্পর্কে।
ওজন কমায়: অতিরিক্ত ওজনের কারণে যদি খুব চিন্তায় থাকেন, তাহলে আজ থেকেই রাতে ভাতের জায়গায় রুটি খাওয়া শুরু করে দিন। আর দেখুন যাদুকরী ফলাফল। কারণ রুটি খেলে আমাদের শরীরে ক্যালরির মাত্রা খুব একটা বাড়ে না। সেই সাথে রুটি যেহেতু তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়, তাই মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়। বিশেষ করে, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমে। আর একথা তো সবারই জানা আছে যে কম খেলে ওজনও বাড়ে না, বরং কমে!
এনার্জির ঘাটতি দূর করে: অফিসে সেই সকাল থেকে এত কাজের চাপ যে মাথা তোলার সময় নেই। ফলে এনার্জি লেভেল একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে যায় । তাহলে তো লাঞ্চে রুটি খাওয়া মাস্ট! কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গম দিয়ে বানানো রুটির ভেতরে থাকা কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং প্রোটিন নিমেষেই ক্লান্তি দূর করে এনার্জির ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
শরীরকে চাঙ্গা করে: গমের রুটি খাওয়া অভ্যাস করলে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আসলে গমের ভেতরে থাকা ফাইবার এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর পুষ্টির ঘাটতি তো দূর করেই, সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগ আক্রান্ত হওয়াড় আশঙ্কাও কমায়।
হজমের উন্নতি ঘটে: গমের রুটিতে থাকা ফাইবার প্রায় সব ধরনের পেটের রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিয়ে বদহজম এবং গ্যাস অম্বলের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই যদি জিজ্ঞাস করেন যে রাতে রুটি খাওয়া উচিত কিনা? তাহলে উত্তর হবে অবশ্যই উচিত!
ক্যান্সারেরর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গমের রুটির ভেতরে থাকা ভিটামিন ই, ফাইবার এবং সেলেনিয়াম শরীরে ক্যান্সার সেলেদের জন্ম নিতে দেয় না। সেই সঙ্গে টিউমারের সম্ভাবনাও কমায়।আর কোনও সন্দেহ নেই নিশ্চয় যে গমের রুটি বাস্তবিকই একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। তাই সকাল হোক কী রাত, যে কোনও সময়েই রুটি খাওয়া চলতে পারে।
কনস্টিপেশনের প্রকোপ দূর করে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত গমের রুটি খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা এত মাত্রায় বৃদ্ধি পায় যে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ সারতে একেবারে সময়ই লাগে না। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন যে গমের রুটি যতটা উপকারি, বাজরার রুটি কিন্তু অতটা উপকারি নয়, তাই এই ধরনের রুটি যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২: ৩০ এ.এম, ০১ ফেব্রুয়ারি২০১৮,বৃহস্পতিবার।
এএস
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur