চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুদ হোসেন বলেছেন, চাঁদপুর সদরে মার্চের মধ্যে ১শ’ ৫০ ভিক্ষুককে পুণর্বাসন করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইতিমেধ্যই আমরা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। প্রকল্প বাস্তবায়নে চাঁদপুরে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা-কমূচারিরা তাকে এক দিনের বেতন জমা দিয়েছে। যা বর্তমানে ১ কোটি ১০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা জমা হয়েছে। ছাড়িয়ে গেছে, তবে এর পরিমান আরো বাড়বে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই টাকা ব্যংকে ডিপোজিট করে রাখবো এবং এর থেকে যার লাভ্যংশ আসে তা দিয়ে ভিক্ষুকমূক্ত করণের কাজে লাগানো হবে। কিন্তু আমরা তাদের হাতে নগদ টাকা দিবো না।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর, ভিক্ষাবৃত্তি হোক দূর’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে চাঁদপুর জেলা ভিক্ষুকমুক্ত করণ ও ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন কর্মসংস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক, স্বাস্থ্য বিভাগ, সড়ক ও নৌ পরিবহন মালিক ও শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিগণের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এ জেলায় সাড়ে ৪ হাজার বিক্ষুকের আবেদন জমা পরেছিলো, পরবর্তিতে যাচাই-বাছাই করে সেটি কমিয়ে আড়াই হাজার ভিক্ষুকের তালিকা করা হয়েছে। আমরা আপাতত সদর উপজেলাকে নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন থেকে ১১জন করে প্রায় দেড়শ’ ভিক্ষুককে এই প্রকল্পের আওতায় এনে কাজ শুরু করবো। তাদের প্রক্যেককে একটি কার্ড দেয়া হবে। এই কার্ড দেখিয়ে তারা যাতে করে যান-চলাচল, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে কম খরচে সেবা নিতে পারবে। এ বিষয়ে আমরা পরিবহন সেক্টর, স্বাস্থ্য বিভাগ, শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের সাথে সভা করেছি।
তিনি আরো বলেন, এছাড়াও এই তালিকার সকলের বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, বিধবা ভাতাসহ সরকারি যেসব সুবিধা রয়েছে তা আগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পাবেন। আর প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত একজন করে ভিক্ষুকদে আমরা ওই এলাকার ধনী পরিবারের সাথে জয়েন্ট করিয়ে দিবো। যাতে করে ওই ধনী পরিবারটি ভিক্ষুক পরিবারটিকে সাহয্য-সহযোগিতা করতে পারে না। এজন্য আমি জেলার সকল ব্যাক্তিদের সহযোগিতা কামনাা করছি।
শুরুতেই কর্মসূচির উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা, অগ্রগতী ও ভবিষৎত পরিকল্পনা তুলে ধরেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা।
পরে আলোচ্য বিষয়ের উপর মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. হোসনে আরা বেগম, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিষেক দাস, জেলা শিক্ষা অফিসার খোরশেদ আলম, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, সহ-সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশস সোহেল রুশদী, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল-ইমরান শোভন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, লঞ্চ মালিক বারেক হাজী, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি আলম পলাশ, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের বার্তা সম্পাদক আহসান উল্যাহ প্রমুখ।
প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:৩০ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮,সোমবার
এইউ