বঙ্গাব্দের পৌষ মাসের শেষার্ধ ও মাঘ মাসের প্রথমার্ধ পড়বে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের প্রথম মাস। আর এই জানুয়ারি মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিতে পারে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সেই সময়ে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে অক্টোবর মাসে অগ্রিম শীত নামার কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না তারা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণে দেখেছি যে, অক্টোবরের তাপমাত্রা গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। তাই বলা যায়, গত বছরের তুলনায় অক্টোবরটা বেশি গরম ছিল। এবার একটু আগেই শীত নামার সম্ভাবনাটা কম। শীত স্বাভাবিক নিয়মেই আসবে বলে আমরা মনে করছি।
এখন রাতের ও দিনের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তিন মাসের দীর্ঘমেয়াদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি মৃদু বা মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি মাঝারি বা তীব্র ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। অন্যান্য স্থানে এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
৪ থেকে ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদৃ শৈত্যপ্রবাহ বলা হয় বলেও জানান সামছুদ্দিন আহমেদ।
গত ২৫ অক্টোবর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে হয় ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওইদিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এই তাপমাত্রা ছিল। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার এটা খালিকটা বেড়ে হয়েছে ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বার্তা কক্ষ
১০ নভেম্বর,২০১৮