দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করেছে চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে চাঁদপুর পৌরসভার আওতাধীন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মিশন রোড পর্যন্ত সড়কের পুনঃসংস্কার কাজ করতে দেখা গেছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, শীঘ্রই চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড ইলিশ চত্বর থেকে শুরু করে শহীদ মুক্তিযুদ্ধা সড়ক, মরহুম আঃ করিম পাটওয়ারী সড়ক, ট্রাক রোড, হাজী মহসীন রোডসহ শহরের বিভিন্ন সড়কগুলোর পুনঃসংস্কার কাজ করা হবে।
গত কয়েক বছর ধরে দেখা গেছে চাঁদপুর শহরের ওয়্যারলেস এলাকা থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু সড়ক, শহীদ মুক্তিযুদ্ধা সড়ক, মরহুম আঃ করিম পাটওয়ারী সড়ক, ট্রাক রোড, হাজী মহসীন রোডসহ শহরের বিভিন্ন সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানের ইট, বালু, কংক্রিট ও পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে তা বেহাল দশায় পড়েছিলো। সড়কের বিভিন্নস্থানে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই ওইসব গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে তা পেগ কাধায় তা একাকার হয়ে যেতো। যার কারনে ওইসব সড়কগুলো দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের অনপোযুগী হয়ে পড়েছে।
প্রায় এক দেড় বছর ধরে শহরের সড়কগুলো দিয়ে ছোট বড় কোন ধরনের যানবাহনই স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারতো না। সড়কের পুনঃসংস্কার না হয়ে এমন বেহাল দশায় পড়ে থাকার কারণে প্রতিদিনই ঘটেছে ছোট খাটো কোন না কোন দুঘর্টনা।
এ কারনে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসি ও শহরমুখী মাসুষ । তবে বেশির ভাগ দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহন চালকরা। কারন অনেক যানবাহন চালকরা জানিয়েছেন সড়কগুলোর এমন করুন পরিনতির কারনে দেখা গেছে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে দীর্ঘ যানজটে পড়তে হয়েছে। যানজট লেগে থাকার কারনে দেখা গেছে যেখানে তারা দৈনিক ১০/১৫ বার যাতায়াত করতে সেখানে তারা যানজটে আটকা পড়ে দৈনিক ৫/৭ বার যাতায়াত করেছেন।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চাঁদপুর পৌরসভার সড়কগুলোর এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন যানবাহন চালক ও শহরবাসির দাবি ছিলো সড়কগুলোর দ্রæত সংস্কার কাজ করার জন্য।
তাই চাঁদপুর শহর বাসির এমন দাবির প্রেক্ষিতে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সোমবার সকাল থেকে শহরের বাসস্ট্যান্ট ইলিশ চত্বর থেকে শুরু করে মিশন রোড রেলক্রসিং পর্যন্ত সড়কের পুনঃসংস্কার কাজ করতে দেখে শহর বাসির মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে।
এদিকে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা দ্রæতগতিতে কাজ করতে গিয়ে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, পূর্বের রাস্তা ভালোভাবে না খুঁদে অনেকটা তাড়াহুড়ো করে পিচ ঢালাই দেয়া হচ্ছে। কিছুদিন না যেতেই আবার ঢালাই উঠে যাওয়ার আশংকা রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্যে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের কাউকে কাজের স্থলে পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৩০ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ