চাঁদপুরে ঘন কুয়াশার কবলে চাঁদপুর নৌ-সীমানার বিভিন্ন চরে দক্ষীনাঞ্চীয় ও চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী শতাধীক যাত্রীবাহী লঞ্চ বিভিন্ন চরে আটকা পড়েছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) গভীর রাতে চাঁদপুর নৌ-সীমানার ইশানবালা, আলুরবাজার,হাইমচর এলাকার মধ্যচরে, শরীয়তপুর চরে, ষাটনল, মোহনপুর চরে, এখলাসপুর ও আমিরাবাদসহ বিভিন্ন চর এলাকায় এ সব লঞ্চগুলো ঘন কুয়াশার কারণে ও ডুবোচরে আটকা পরে রাতভর যাত্রীদের নিয়ে অবস্থান করতে হয়েছে।
এতে করে দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চগুলো ভোররাতে পৌঁছার স্থলে ৫-৬ ঘণ্টা পরে, ঢাকা-চাঁদপুরের মধ্যে চলাচলকারী লঞ্চ গুলো ২-৩ঘন্টা বিলম্বে তাদের গন্তব্যে পৌঁচেছে।
এদিকে প্রচÐ ঠাÐার মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধারা অনেকেই অসুস্থ হওয়ার খবার পাওয়া গেছে। সীমাহীন দুর্ভোগ পড়েন যাত্রীরা।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে লঞ্চের মাস্টার ও যাত্রীদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, প্রতিটি লঞ্চ শনিবার দুপুরে ও বিকেলে দক্ষিনাঞ্চল বরিশাল, ফিরোজপুর, পাতারহাট, লেতরা, পয়সারহাট,কালাইয়া ভান্ডারিয়া,কাউখালীসহ বিভিন্নস্থান থেকে ছেড়ে চাঁদপুরে রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে পৌছার কথা থাকলেও নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে।
রোববার সকালে অন্য লঞ্চের সাহায্যে কযেকটি লঞ্চের যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। এতে করে যাত্রীরা বিশুব্দ পানি ও খাদ্যের অভাবে দুর্ভোগ পৌহাতে হয়েছে।
নদীতে আটকা পড়া উল্লেখ্যযোগ্য লঞ্চ গুলো হচেছ, এমভি পূবালী, কিং সম্রাট, রেডসান-৫, জাহিদ-৩. পারাবত-১৪, ফারহান-১০, হাসান-হোসেন-২, রাসেল-৫, মহারাজ-৭, ধুলিয়া-১, সুন্দরবন-১২, মানিক-৫, যুবরাজ-২, সুন্দরবন-৫,দেশান্তর, সোনারতরী-২, তাকওয়া, রাসেল-৩, রাসেল প্লাসসহ আরো একাধিক লঞ্চ।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর বন্দর কর্মকতা ও উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘কুযাশার কারণে লঞ্চগুলো বিলম্বে এসেছে। এতে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। কুয়াশা দিয়ে ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করলে দুর্ঘটনা ঘটতো। তবে যাত্রীদের একটু কষ্ট হয়েছে সত্য তবে তারা নিরাপদে গন্তব্যে গিয়েছে।
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:৫০ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, রোববার
ডিএইচ