Home / সারাদেশ / পদক পাচ্ছেন মহাপরিচালকসহ ৬০ সদস্য

পদক পাচ্ছেন মহাপরিচালকসহ ৬০ সদস্য

বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) থেকে বদলে নতুন নাম ধারণ করা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সপ্তম জন্মদিন আগামী ২০ ডিসেম্বর। অন্যবারের মতো এবারও দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

এবারের বিজিবি দিবসে বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আবুল হোসেনসহ ৬০ সদস্য পাচ্ছেন বিজিবি পদক। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক পাচ্ছেন ১০ জন, রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক পাচ্ছেন ২০ জন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সেবা পদক পাচ্ছেন ১০ জন এবং রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড সেবা পদক পাচ্ছেন ২০ জন।

বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, বিজিবি দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে তাঁদের পদক নেওয়ার কথা রয়েছে। বিজিবি দিবসে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ শেষে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন। পরে বীর-উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে আয়োজিত দরবারে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

গত ১০ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত শাখা-১ থেকে পদকসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিজিবির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অসীম সাহসিকতা, বুদ্ধিমত্তা, একনিষ্ঠতা, সততা, দূরদর্শিতা, মমত্ববোধ ইত্যাদি কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পদকসহ এককালীন আর্থিক অনুদান এবং বেতনের সঙ্গে মাসিক ভাতা পাবেন তাঁরা।

এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদকপ্রাপ্তরা পাবেন এককালীন এক লাখ টাকা এবং বেতনের সঙ্গে যোগ হবে এক হাজার ৫০০ টাকা। রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদকের জন্য দেওয়া হবে এককালীন ৭৫ হাজার টাকা এবং বেতনের সঙ্গে যোগ হবে এক হাজার টাকা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সেবা পদকের জন্য এককালীন ৭৫ হাজার টাকা ও মাসে এক হাজার ৫০০ টাকা এবং রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড সেবা পদকের জন্য এককালীন ৫০ হাজার টাকা ও মাসে এক হাজার টাকা পাবেন পদকপ্রাপ্তরা।

এবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক পাচ্ছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, বিজিবির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনিছুর রহমান, কাজী তৌফিকুল ইসলাম, এ কে এম সাইফুল ইসলাম, আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার, কর্নেল এ এস এম আনিসুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আমির মজিদ, নায়েব সুবেদার মো. তোতা মিয়া ও ল্যান্স নায়েক মো. রুহুল আমিন।

এ ছাড়া ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক দেওয়া হচ্ছে। এই পদক পাচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আল মাসুম, কর্নেল মো. আশরাফুল ইসলাম, গাজী মুহাম্মদ সাজ্জাদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আব্দুল খবীর, মো. ইমতিয়াজ চৌধুরী, মো. আনোয়ারুল আযীম, মোহাম্মদ খালিদ আহমেদ, এস এম আবুল এহসান, মো. মেহফুজার রহমান, মোহাম্মদ আরিফুল হক, সোহেল উদ্দিন পাঠান, শামীম মাসুদ আল ইফতেখার, মেজর ইকবাল আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, শাহরিয়ার হোসেন, নায়েব সুবেদার মো. আব্দুল হাকিম, কবির উদ্দিন, হাবিলদার মো. ইকবাল হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান খান ও ল্যান্স নায়েক মো. মিজানুর রহমান।

আরো ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সেবা পদক এবং ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড সেবা পদক দেওয়া হবে।

১৭৯৫ সালে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন নামে এ দেশের সীমান্ত বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। যাত্রার পর থেকে নানা পটপরিবর্তন আর ইতিহাসের পরিক্রমায় ১৯৪৭ সালে পাক-ভারত বিভক্তের পর নাম হয় ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআর। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর। ২০০৯ সালে পিলখানা সদর দপ্তরে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর ২০১০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বহু আগে থেকেই রয়েছে এই বাহিনীর বীরত্ব আর সাহসিকতার ইতিহাস। ১৮৭৯ সালে এই বাহিনীর সদর দপ্তর স্থাপন করা হয় বর্তমান পিলখানায়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী পিলখানায় ইপিআর সৈনিকদের ওপর নৃশংস হামলা চালায়। পরে ইপিআরের ১২ হাজার সৈনিক মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এই বাহিনীর ৮১৭ জন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে ইপিআরকে পুনর্গঠন করে নাম রাখা হয় বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর।

বার্তা কক্ষ
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১ : ৩০ এএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, রোববার
এইউ