চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল বলেছেন, বেগম রোকেয়া তার সমস্ত উর্পাজনের টাকা নারী মুক্তির জন্য ব্যয় করেছেন। তার আন্দোলনে বাংলাদেশে আজ অনেক নারী মুক্তি হয়েছে। নারী পুরুষের বৈষম্যের জন্য বেগম রোকেয়া যুদ্ধ করেছিলেন। আজ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নারী পুরুষরা সমানতালে কাজ করে চলেছেন। বেগম রোকেয়ার অবদানকে কখনো অস্বীকার করা যাবেনা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থার আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আর্ন্তজাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবসে চাঁদপুরে র্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মুসলিম নারী মুক্তির জন্য বেগম রোকেয়া কাজ করে গেছেন। নারীদের জন্য তিনি তার প্রথম আন্দোলন শুরু করেছিলেন কলকাতায়। অনেক রাষ্ট্রে এখনো নারী মুক্তি হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশে বেগম রোকেয়া নারীদের জন্য যে ভাবে কাজ করেছেন সেভাবে বেগম রোকেয়া দিবসে নারী এগিয়ে আসেননি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম রোকেয়াকে বেশি স্মরণ করছেন। তার কথা স্মরণ করে সরকার নারীদের জন্য বিভিন্ন স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। নারীদের জন্য চাকরির কোঠা তৈরি করে তাদেরকে চাকরি দিচ্ছেন। তিনি নারীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের জন্য কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগের তুলনায় বাংলাদেশে নারী বৈষম্য অনেকটাই দুর হয়েছে।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়শা আক্তার,পুলিশ সুপার সামসুন্নাহার, চাঁদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কার্নিজ ফাতেমা, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযুদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা মাসুদা নুর খান, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্সের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পারভিন শরীফ।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও রয়মনের নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ আফরোজা খাতুন মেরির পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুদ হোসেন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. ওয়ালী উল্লাহ অলি, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদীসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।
শেষে ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতার মধ্যে একজন উপস্থিত না হওয়ার কারণে ৪ জনের হাতে সংবর্ধনা পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। ৪ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন ছিদ্দিকা বেগম, পারভিন শরীফ, নুরুন্নাহার ও মোরশেদা বেগম।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১ : ০০ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭, শনিবার
এইউ