পাকিস্তানে ধর্মীয় কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভের মুখে চাপে পড়ে অবশেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন দেশটির আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদ। রোববার রাতে পদত্যাগ করেন তিনি।
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জাহিদ হামিদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন ইসলামি কট্টরপন্থী দল তেহরিক-ই-লাব্বাইকের কর্মী-সমর্থকরা।
হামিদের পদত্যাগের পর ধর্মীয় কট্টরপন্থীরা তাদের প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চালানো বিক্ষোভ থামিয়ে দিয়েছে। আগেই পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা সমঝোতায় এসেছিল, আইনমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বিক্ষোভ বন্ধ করা হবে।
ইসলামি কট্টরপন্থী দল তেহরিক-ই-লাব্বাইকের মুখপাত্র ইজাজ আশরাফি জানান, আমাদের প্রধান দাবি পূরণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে আইনমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সে কারণে আমরা আন্দোলন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রসঙ্গত, তেহরিক-ই-লাব্বাইক ইয়া রাসূলুল্লাহ পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারের একটি অংশে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) এর নাম বাদ পড়ে যায়। সেই ঘটনার জেরে আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ধর্মীয় কট্টরপন্থীরা।
এ ঘটনায় ক্ষমাও চেয়েছেন আইনমন্ত্রী। তার দাবি, ভুলবশত এরকম হয়েছে। তারপরেও আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তবে আইনমন্ত্রীর পদত্যাগের মাধ্যমে বিক্ষোভের অবসান ঘটেছে।
দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, নিজের থেকেই পদত্যাগের নিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদ। একই রকম তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন।
গত দু’দিনে ইসলামাবাদের ফাইজাবাদ, লাহোর, করাচিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন নিহত এবং শতাধিক বিক্ষোভকারী আহতের পর এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। (সূত্র : ডন, টাইমস অব ইন্ডিয়া)
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ০০ এএম, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭ সোমবার
এইউ