পিলখানার বিডিআর হত্যা মামলার হাইকোর্টের রায় রোববার (২৬ নভেম্বর)। উচ্চ আদালতের একটি বিশেষ বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি। তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রত্যাশা, বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের রায় হবে উচ্চ আদালতে। অন্যদিকে এ মামলার তদন্তকে ক্রুটি পূর্ণ দাবি করে খালাস পাওয়ার প্রত্যাশা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
নারকীয় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঐ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকর আইনে দুটি মামলা হয়। এ মামলার বিচার শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। রায়ে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস পান ২৭৭ আসামি। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যার দিক দিয়ে যা বিশ্বের অন্যতম মামলা এটি।
বিচারিক আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিপক্ষ। অন্যদিকে খালাস পাওয়া ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
এর শুনানি শুরু হয় ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি। ৩৭০ কার্যদিবস চলে আপিল শুনানি। যা শেষ হয় গত ১৩ই এপ্রিল। বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ড হবে বলে প্রত্যাশা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখিয়েছি অপরাধ কাদের এবং কাদের অপরাধ এত বেশি গুরুতরও তা মার্জনও করা যায়না। সে মতে রাষ্ট্র বিচার পাবে।’ স্পর্শকাতর মামলা হওয়ায় ঢালাও ভাবে আসামিদের দণ্ড দেয়া হয়েছিলো, উচ্চ আদালত এ বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে মনে করেন আসামিপক্ষ।
অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সাক্ষ্য প্রমাণে যেটা এসেছে যাদের ১৬৪ নাই তাদের বহাল রাখা, যাদের ১৬৪ দিয়েছেন,তাদেরেকে কতটা নির্যাতনের মধ্য দিয়েছে তাও দেখতে হবে।’ বিডিআর হত্যা মামলাটি হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হতে চললেও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা অপর মামলাটির বিচার চলছে সাড়ে আট বছর ধরে।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ০০ এএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৭ রোববার
এইউ