ইসলামের রীতি অনুযায়ী, মেয়েদের চুল কেটে ফেলা কিংবা রূপচর্চা নিয়মবিরুদ্ধ, আর তাই এবার ভারতের উত্তর প্রদেশে মুসলিম নারীদের পার্লারে যাওয়ার উপর জারি হল নিষেধাজ্ঞা।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দেশটির উত্তরপ্রদেশের শাহারানপুর জেলার মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় দারুল-উলুম দেওবন্দ-এর পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সংগঠন এই ফতোয়া জারি করেছে। ফতোয়ার ঘোষণা করেন সংগঠনটির প্রধান মাওলানা কাজমি। ফতোয়ায় জানানো হয়েছে, মুসলিম নারীদের রূপচর্চা ও চুল কাটার মতো কাজ ইসলামের নিয়মবিরুদ্ধ। তাই নারীদের পার্লারে যাওয়া উচিত কাজ নয়। শুধু তাই নয়, চুল কাটতেও পারবেন না কোনও মুসলিম নারী। এই ঘোষণায় ভারতজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি শাহারানপুরের এক ব্যক্তি দারুল-উলুম দেওবন্দ বিশ্ববিদ্যালয়কে করা একটি প্রশ্নে জিজ্ঞাসা করেন, ইসলামিক রীতিতে নারীদের ভ্রু প্লাক কিংবা চুল কেটে ফেলা কি বৈধ? ‘ইসলাম কি মহিলাদের রূপচর্চা এবং চুল কাটার অনুমতি দেয়?’
তাঁর এই প্রশ্নের জবাবে দারুল-উলুম দেওবন্দ বিশ্ববিদ্যালয় ফতোয়া জারি করে জানায়, এই ধরনের সমস্ত কাজ ইসলাম বিরুদ্ধ। আরও বলা হয়, ‘কোনও নারী যদি এই ধরনের কাজে যুক্ত হন, তাহলে স্পষ্টতই তিনি ইসলামের নিয়ম ভাঙবেন। ’
দারুল ইফতা সংগঠনটির মতে, ইসলামে মোট দশটি এমন কাজের উল্লেখ রয়েছে যা মুসলিম নারীদের কখনই করা উচিত নয়। এর মধ্যেই একটি কাজ হল এই ভ্রু প্লাক।
এই প্রসঙ্গে কাজমি বলেন, ‘চুল কেটে ফেলা বা রূপচর্চা- মুসলিম নারীদের এগুলি কখনওই করা উচিত নয়। কারণ এর ফলে নারীদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।’ তাঁর মতে, মুসলিম নারীদের অবশ্যই পার্লার জাতীয় জায়গা থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ রূপচর্চার কারণেই অন্যান্য পুরুষরা তাঁদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ওঠেন।
কাজমি আরও জানান, বর্তমানে বহু মুসলিম নারীই পার্লারে যাওয়ার ঝোঁক রয়েছে। তাই এই ধরনের ফতোয়া আরও আগে জারি করা উচিত ছিল। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ০০ এএম, ০৮ অক্টোবর, ২০১৭ রোববার
এইউ