বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনের ৩ দিন পর শিউলি (২০) নামের সেই তরুণী অবশেষে বিয়ে করেই ছেড়েছেন।
বৃস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ভোরে প্রেমিক ও প্রেমিকার বাড়ির লোকজনের সমঝোতার মধ্য দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান পয়গাম আলী জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ছোট খোচাবাড়ি গুচ্ছগ্রামের মতিউর রহমানের (বকমারী) কলেজ পড়ুয়া মেয়ে শিউলীর (২০) সঙ্গে একই গ্রামের সফিকুলের ছেলে নেহারুলের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক।
এক পর্যায়ে মেয়েটিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় ছেলেটি। পরে কোনো উপায় না পেয়ে মঙ্গলবার থেকে ছেলেটির বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয় মেয়েটি।
পরে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হলে অবস্থার বেগতিক দেখে ছেলেটি আত্মগোপন করে। মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে মীমাংসার জন্য আলোচনা হয়।
কিন্তু ছেলের পরিবার তা মেনে নিতে রাজি হয়নি। বুধবার রাতে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বিয়ের দাবিতে তরুণীর অনশনে বসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করলে বৃহস্পতিবার রাতে এলাকাবাসী ও প্রশাসনের চাপে ছেলের পরিবার শিউলির সাথে বিয়ে দিতে রাজি হয়। পরে ভোর রাতে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দেনমোহরে শিউলীর (২০) সঙ্গে প্রেমিক নেহারুলের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
শিউলী জানায়, নেহারুলের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। সে আমাকে বিয়ের আশ্বাস দেয়। কিন্তু হঠাৎ সে আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে উপায় না পেয়ে তার বাড়িতে চলে আসি। ৩ দিন পর অবশেষে আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হলো।
ছেলে নেহারুল জানান, শিউলীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সংসার চালানোর সক্ষমতা আপাতত না থাকায় পরে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শিউলী সেই কথা মানতে নারাজ হয়ে বাসায় চলে আসে। অবশেষে দুই পরিবারের সমঝোতায় বিবাহ সম্পন্ন হয়।
ছেলের বাবা সফিকুল ও মেয়ের বাবা মতিউর রহমান বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে মীমাংসার জন্য আলোচনা হয়। কিন্তু ছেলের পরিবার কোনভাবে বিয়েতে রাজি হয়নি। অবশেষে স্থানীদের চাপে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে শিউলি ও নেহেরুলের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ৯ : ৩০ এএম, ০৬ অক্টোবর, ২০১৭ শুক্রবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur