Home / চাঁদপুর / শেষ মুহূর্তে চাঁদপুর মাছঘাটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়
Ilish vora mousum
ফাইল ছবি

শেষ মুহূর্তে চাঁদপুর মাছঘাটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

জাতীয় মাছ মা ইলিশ ইলিশ রক্ষায় আর মাত্র দুদিন পরেই শুরু হচ্ছে অভয় আশ্রমের অভিযান। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকা চাঁদপুর জেলার পদ্মা-মেঘনা নদীতে চলবে এই অভিযান। এ সময়ে নদীতে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম করেছে সরকার।

শেষ সময়ে তাই সুস্বাদু ইলিশ ক্রয়ে চাঁদপুর মাছঘাটে ক্রেতাদের উপচেয়ে পড়া ভিড় দেখা গেছে। গত কয়েকদিন ধরেই চাঁদপুর মৎস্য আড়তে হঠাৎ করে প্রচুর পরিমানে রূপালী ইলিশ আমদানী হওয়ায় কমদামে ইলিশ কিনতে চাঁদপুর শহর, শহরতলী এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে থেকে শত-শত সাধারন ক্রেতার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা সেখানে ভিড় জমাচ্ছে।

এদিকে বছরের অন্যান্য সময়ে ইলিশ বিক্রির জন্য আড়ৎতের ব্যবসায়ীরা অপেক্ষাকৃত নরম ও পচা ইলিশ কেটে সেগুলো লবনজাত করে লোনা ইলিশে রূপান্তরিত করছে। বৈশাখ মাসে দেশের বিভিন্ন জেলায় লোনা ইলিশের চাহিদা থাকায় চাঁদপুর মাছঘাটে এখন লোনা ইলিশ সংরক্ষনের হিরিক পড়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর, ঠাকুরগাঁও, জামালপুর, শেরপুর সহ বিভিন্ন জেলায় এসব ইলিশের প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানায়। শেরপুর ও জামাল পুরের নজরুল ইসলাম, দিলদার হোসেন, সুলতান আহমেদ, নবীর হোসেন, আবুল কাশেম, মজিদ হোসেন, মোকলেছুর রহমান সহ প্রায় ৩০-৩৫ জন মালিক প্রায় দেড় শতাধিক শ্রমিক এনে চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশ কেটে লবণ দিয়ে লোনা ইলিশ তৈরি করছে।

শেরপুরের নজরুল ইসলাম জানান, শুধু চাঁদপুরে নয় আমরা হাতিয়া ও ভোলাতে একই ভাবে একই মৌসুমে ইলিশ কেটে লবণজাত করে লোনা ইলিশ তৈরির কাজ করে যাচ্ছি। তাজা ইলিশের তুলনায় শেরপুর ও জামালপুরে এই লোনা ইলিশের চাহিদা খুব বেশি। এই ইলিশটি আগামী ৬ মাস পর ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা কেজি দরে আমাদের এলাকাতে বিক্রি করা হবে। তিনি আরো জানান, তাদের এলাকাতে নতুন জামাই বাড়ি আসলে এই লোনা ইলিশ দিয়ে আপ্যায়ন করানো হয়। যার জন্য শেরপুর, জামালপুরসহ বিভিন্ন এলাকাতে এই লোনা ইলিশের কদর খুব বেশি। এই ইলিশের পেটে থাকা ডিম প্লাস্টিকের বাক্স ভর্তি করে ফ্রিজিং করে তা চট্টগ্রাম সী-ফুডের মাধ্যমে মালেশিয়ায় পাঠানো হচ্ছে। আর বহু বছর ধরে লোনা ইলিশের কদর বেশী জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, সিলেটের মৌলভী বাজার, রংপুর ও ঠাঁকুরগাঁও জেলায়। তবে জামালপুর জেলার শ্রমিকরাই লোনা ইলিশ সংরক্ষণের কাজে বেশী পারদর্শী। তবে স্থানীয় নারীরাও ইলিশ কাটার কাজে সহযোগিতা করেন।

অপরদিকে শেষ সময়ে চাঁদপুর মাছঘাটে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ আসতে দেখা গেছে। ফলে ইলিশের বেচা বিক্রিও বেড়েছে কয়েকগুণে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসব ইলিশ পক্রিয়াজাত করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রফতানি করছে।

আশিক বিন রহিম
: : আপডেট, বাংলাদেশ ১১: ৫৫ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বুধবার
ডিএইচ

Leave a Reply