অবশেষে আড়াই শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চালু হয়েছে নতুন ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন। টেকনিশিয়ানের অভাবে দীর্ঘ এক বছর ধরে সার্ভিসিং ছাড়াই হাসপাতালে অকেজো অবস্থায় পড়েছিলো এ মেশিন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ টেকনিশিয়ান না পাঠানোর কারণে সার্ভিসিং করা হয়নি। সরকারি ভাবে যেমনি পাঠানো হয়েছে তেমনি ভাবেই এতোদিন পড়ে রয়েছে মূল্যবান এ মেশিনটি।
এ নিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের কিছুদিন পরেই কোরবানি ঈদের আগে ঢাকা থেকে লোকজন এসে মেশিনটি সার্ভিসিং করে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, টেকনেশিয়ানরা প্রায় ১৫/২০ দিন ধরে চাঁদপুরে এটি ইনিস্টল করা হয়। সর্বশেষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এ ডিজিটাল মেশিনে এক্সরে চালু করা হয়।
এরপর থেকে হাসপাতালেই ডিজিটাল এক্সরে সেবা পাচ্ছেন রোগীরা।
চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে প্রতিদিন অন্তত ৫০/৬০ টি এক্সরে হয়ে থাকে। এর বাইরেও হাসপাতালের নিকটতম বিভিন্ন ডায়াগনস্টিকে প্রায় ৩০/৪০ টি ডিজিটাল এক্সরে হয়ে থাকে। আর রোগীরা এসব এক্সরে করাতে গিয়ে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হতো। গত দুদিন ধরে হাসপাতালে ডিজিটাল মেশিনটি চালু হওয়ায় চিকিৎসা ব্যয় কিছুটা কম হচ্ছে, এতে স্বস্তি পাচ্ছেন রোগীরা।
বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে ডিজিটাল এক্সরে করাতে হলে ৬ থেকে ৭’শ টাকা ব্যয় করতে হয়। কিন্তু হাসপাতালে রোগীরা তা সরকারি খরচে করছেন মাত্র দেড়শ’ থেকে ২’শ টাকায়।
মেডিকেল টেকনলোজিস্ট খান মোঃ রিয়াজ ও নাজির আহমেদ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘সরকারি খরচে বড় ডিজিটাল এক্সরে করা হয় ২’শ টাকায়, আর ছোট এক্সরে দেড়’শ টাকায়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সরকারি এ হাসপাতালটিতে ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি চালু হওয়ায় রোগীরা অনেক উপকৃত হচ্ছেন।’
এদিকে ডিজিটাল মেশিনটি চালু হলেও লোকবল সংকটে হিমশিম খেতে হয় দু’জন মেডিকেল টেকনলোজিস্টকে। হাসপাতালে থাকা আগের নরমাল এক্সরে মেশিনের দায়িত্বে ছিলেন মেডিকেল টেকনলোজিস্ট খান মোঃ রিয়াজ ও নাজির আহমেদ। এখন তারা দু’জনই এ ডিজিটাল মেশিনে এক্সরের কাজ করতে হচ্ছে বলে তারা জানান।
দুটি এক্সরে মেশিনের জন্য যেখানে অন্তত ৪ জন টেকনলোজিস্ট দরকার সেখানে মাত্র তারা দু’জনই এ দায়িত্ব পালন করতে হয়। এজন্য দু’দিকে সামলাতে গিয়ে তাদেরকে অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
: : আপডেট, বাংলাদেশ ৭: ৪০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বুধবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur