মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রিভিউ খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেয়া রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ১৫ মে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ এবং সাজা থেকে খালাস চেয়ে পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের ওপর শুনানি শেষে দুই আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ফলে আপিল বিভাগের দেয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডই বহাল থাকে। এখন স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত বাকি জীবন কারাগারেই কাটাতে হবে সাঈদীকে।
রাষ্ট্র ও আসামি উভয় পক্ষের করা রিভিউ শুনানি শেষে ১৫ জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরন্দ্রে কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
সম্প্রতি আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদের স্বাক্ষর করার পর কোর্টের শাখা থেকে সাত পৃষ্ঠার ওই রায় প্রকাশ করা হয়। রায় প্রকাশের পর কপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও পৌঁছানো হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মো. সেলিম মিয়া সাঈদীর রিভিউর রায়ের কপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাঈদীর রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায়ের কপি মঙ্গলবার পেয়েছি।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী ও জেয়াদ আল মালুম বলেন, রিভিউয়ের রায় আমরা পেয়েছি। এখন আসামিকে স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হবে।
এদিকে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পরও তা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়নি। নিয়ম অনুয়ায়ী রায় প্রদানকারী বিচারপতিরা স্বাক্ষরের পর পরই তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী বলেন, এ রায়ের হার্ড কপি ঈদের আগেই সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিয়েছি। ছুটির কারণে তা ওয়েবসাইটে দেয়া হয়নি। আজকেই ওয়েবসাইটে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এরপর সাঈদী আপিল করলে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দেন। তাতে সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ হলে রিভিউ করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর পাঁচদিনের মাথায় খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন করেন সাঈদী। (জাগো নিউজ)
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ০০ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ মঙ্গলবার
এইউ