চাঁদপুর-হাইমচর এলাকার সংসদ সদস্য ডা.দীপু মনি হাইমচর ইউনিয়নের নদী সিকস্তি ৬০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ৬ হাজার টাকার চেক দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান মো.শাহাদাত সরকারের পিএস হিসেবে পরিচয়দানকারী ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মো.সবুজ মিয়া চেক ভাঙ্গিয়ে টাকা দেয়ার কথা বলে তাদের চেক নিয়ে টাকা উঠিয়ে উধাও হয়ে গেছেন।
প্রতিবাদে ৬০ পরিবার উপজেলা চত্বরে (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধার মানববন্ধন করে সবুজের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
উপজেলা চত্বরে ৬০ পরিবার মানববন্ধনকালে জানান,নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে তাদের ঘর বাড়ি সহায়সম্বল হারিয়ে যায়। ৬ সেপ্টেম্বর ইউনিয়নের সাহেব বাজারে গিয়ে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা.দীপু মনি তাদেরকে ২ ব্যান্ডেল ডেউটিন ও ৬ হাজার টাকার চেক দেন। টিন ও টাকা ভাঙ্গিয়ে এনে দেয়ার খরচ হিসেবে ২ হাজার টাকা করে নেন।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টম্বর) আমাদেরকে চেয়ারম্যান শাহাদাত সরকার টাকা ভাঙ্গিয়ে দেয়ার জন্যে চেক নিয়ে আসার কথা বলে। আমরা চেক নিয়ে আসলে চেয়ারম্যানের পিএস সবুজ মিয়া আমাদের থেকে চেক নিয়ে নেন। চেক ভাঙ্গিয়ে আমাদের থেকে ২ হাজার টাকা রেখে ৪ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলে।
তারা ৪ হাজার টাকা নিতে অস্বীকার করলে সবুজ হুমকি দিয়ে বলে টাকা নিলে নে না নিলে এক টাকাও পাবি না। এ বলে সে টাকা নিয়ে চলে যায়। আমরা আমাদের এমপি আপার দেয়া টাকা নিয়ে যারা চলে গেছে তাদের শাস্তি চাই।
এ সম্পর্কে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.আমিনুর রশিদ জানান,আমরা ৬০ পরিবারকে চেক দিয়ে দিয়েছি। তারা চেক ভাঙ্গিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উঠাবে। টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।
হাইমচর ইউপি চেয়ারম্যান মো.শাহাদাত সরকার বলেন,‘খরচ হিসেবে সবুজ ১ হাজার টাকা করে চেয়ে ছিল। ওরা ৫শ’ টাকা করে দিতে রাজি হয়েছে। এর পর আমি জানি সবুজ টাকা দিয়ে দিয়েছে।’
ইতিপূর্বে খরচের কথা বলে ২ হাজার টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন শাহাদাত সরকার। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা হলেও সবুজ বয়স্ক ভাতা,স্পেশাল ভিজিডি,ভিজিএফ,ত্রাণ সহায়তা সহ বিভিন্নখাতে নদী সিকস্তি ও হতদরিদ্রদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
প্রতিবেদক :বিএম ইসলাম
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:১০ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭,মঙ্গলবার
এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur