চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম বলেছেন, ‘দেশে এখন দু’টি ইস্যু বিরাজ করছে। একটি হলো রোহিঙ্গা প্রবেশ। অন্যটি হলো জঙ্গি সুইসাইড বাহিনী। এ জঙ্গিরা দেশে যে কোন সময় নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে। এদেরকে আমারা প্রতিহত করতে হবে।’
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় পুলিশ সুপার কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে হিন্দু সম্প্র্রদায়ের শারদীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষ্যে জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সকল পূজা মণ্ডপে বিগত বছরের মতো এবছরো নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি আনসার সদস্য দেয়া হবে। নিজস্ব নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি পূজা মণ্ডপে কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে ৮ সদস্যের ভলাণ্টিয়ার বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ভলাণ্টিয়ার টিমের নামের তালিকা প্রস্তুত করে স্ব-স্ব থানার অফিসার ইনচার্জদের হাতে জমা দিতে হবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সিসি টিভি স্থাপন করতে হবে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, পুরাণবাজারে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বাণিজ্য মেলা শুরু হওয়ার কারণে শারদীয় দূর্গা উৎসবের সময় মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় ও নতুনবাজার, পুরাণবার ব্রিজ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। আমরা কারো কোন অপরাধমূলক চিন্তাভাবনাকে পশ্রয় দেবো না।
তিন আরো বলেন, প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জগণ পূজা মণ্ডপের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে সভা করতে হবে। মণ্ডপগুলোতে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদেরকে আয়োজক কমিটি কোনপ্রকারের খাবার দিতে পারবে না। সদস্যরা তাদের নিজস্ব উদ্যোগে খাবার খেতে হবে। স্ব-স্ব ইউনিয়নের আনসার সদস্যদেরকে ইউনিয়নের পূজা মণ্ডপের দায়িত্ব পালন করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে।
এসপি বলেন, ‘দেশে জঙ্গিরা এখন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। এতদিন তারা বোমা নিক্ষেপ করতো, এখন তারা সুইসাইড স্কোয়াডে রূপ নিয়েছে। তারা নিজেরা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করবে এবং আশপাশ এলাকার মানুষদেরকেও হত্যা করবে। তারা যেন কোনভাবেই সার্বজনীন শারদীয় দূর্গা উৎসবের আনন্দঘন পরিবেশে অঘটন ঘটাতে না পারে সে জন্য আমাদের দুটি চোখ খোলা রাখতে হবে।’
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহামন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আফজাল হোসেন, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপাতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডঃ বিণয় ভূষণ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক, অ্যাড. রণজিত রায় চৌধূরী, সদর থানার পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর প্রমুখ।
প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ ১০ : ২০ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ শনিবার
এইউ