এক ভাগ মানুষও যদি আল্লাহর বিধান মানতো পৃথিবীটা স্বর্গে পরিণত হতো

কিছু মানুষ এমন ভাবে কথা বলে শুনলে মনে হয় বেহেশতে তাদের জন্য সিট রিজার্ভ আছে। যেন সরাসরি মহান আল্লাহ্‌ তাদের এই নিশ্চয়তা দিয়েছেন। অথচ কোরআনে স্পষ্ট বলা আছে, ”নন জাজম্যানটাল” হতে অর্থাৎ কোনো অবস্থাতেই অন্যের সম্পর্কে নিন্দা বা গীবত করার অধিকার কাওকে দেওয়া হয়নি এবং তিল পরিমাণও অহংকার করা কঠিন গুনাহর কাজ।

নিজের পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে বশীভূত রাখার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রোজা, জিকির, তসবিহ, তারাবী সবকিছু মানব জীবনের নিত্য অনুষঙ্গ হিসেবে নাজিল হয়েছে। মৃত্যুর পর যার যার হিসেব কেবল তার নিজের আমল বা কৃতকর্মের উপরই বর্তাবে।

কিন্তু নিজের চরকায় তেল দেওয়া বাদ দিয়ে কিছু লোক অন্যের খারাপ কিংবা ক্ষতির কথা ভাবতেই পছন্দ করেন। সুযোগ পেলেই তারা অন্যকে দোজখে পাঠিয়ে দিয়ে মনের আগুনে পুড়িয়ে মারতে চান। নিজেদের নয় বরং অন্যের দোজখ নিয়ে তাদের রাতের ঘুম হারাম। কোনো কিছুতেই যখন পেরে উঠে না তখন অন্তত হিংসায় জ্বলে পুড়ে ছারখার।

মাত্র এক ভাগ মানুষও যদি আল্লাহ্‌’র বিধান মতো মিথ্যা কথা, হিংসা, অহংকার, লোভ বর্জন করে মানব সেবায় ব্রতী হতো তবে পুরো পৃথিবীটাই স্বর্গে পরিণত হতে পারতো । কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ কেবল আনুষ্ঠানিকতায় বিশ্বাসী, ধর্মের গুরু গম্ভীর ব্যাখ্যা, অন্তর্নিহিত অর্থ মানতে নারাজ । কিংবা হতে পারে বিষদ ভাবে মানতে পারা অনেকের জন্য কষ্ট সাধ্য বলে কেবলই আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধতা, ধর্মের ভিতরে ঢুকতে চায় না।

কথায় বলে ”খালি কলসী বাজে বেশি” । যে সব নব্য মুসলমানরা কথায় কথায় আল্লাহ্‌র নামে কসম কাটে, নামাজ-রোজা পরে বলে নিজেকে বেহেশতী মানুষ ভেবে অন্যকে পীড়ন করে, কথায় কথায় দোজখে পাঠায়, ধর্মের মুখোশের অন্তরালে তারাই অধর্মের কাজ বেশি করে বলে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। আল্লাহ্‌ পাক অহংকারী মানুষদের চরম অপছন্দ করেন বলেই ইরশাদ করেছেন, ”মাত্র এক ফোঁটা রক্ত বিন্দু থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছি অন্যের প্রতি অহংকারী, লোভী, নিষ্ঠুর হইয়ো না কখনো, হইলে ধ্বংস অনিবার্য”।

অকর্মণ্য মানুষদের অন্যকে ছোট করার মাঝেই নিজের প্রশান্তি নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে পারা। এই রমজানে মহান আল্লাহ্‌ পাক তাদের হেদায়েত করুন এই দোয়া কেবলই। আমীন!
লেখক-
খুজিস্তা নূর-ই-নাহারিন (মুন্নি
সম্পাদক: পূর্বপশ্চিমবিডি

নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:২৫ পিএম, ১৩ জুন ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Share