চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি বলেছেন,‘ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ১০ থেকে ১২ লাখ জনতার সামনে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ ভাষণ দিয়েছেন। ১৯ মিনিটের এ ভাষণে ১,০৯৫ টি শব্দ রয়েছে। ভাষণের প্রতিটি শব্দই ছিলো প্রয়োজনীয়। কেউ চাইলে এখানে বাড়তি আরো একটি শব্দ যোগ করতে পারবে না। ইউনেস্কো এ ভাষণটিকে শ্রেষ্ঠতের স্বীকৃতি দিয়েছে।’
ফরিদগঞ্জের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের উদ্যোগে আলোচনা সভায় বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
৪৫ মিনিটের নাতিদীর্ঘ বক্তব্যে তিনি ৭ মার্চের ভাষণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন,‘ আপনি যদি অতীত না জানেন। তাহলে একটা পর্যায়ে গিয়ে থেমে যেতে হবে। এ অঞ্চলে হাজী শরীয়ত উল্ল্যাহ , মাও.ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মাও.মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী আন্দোলন করেছেন। সিপাহী বিদ্রোহ ,খেলাফত বিদ্রোহ ও কৃষক বিদ্রোহ হয়েছে- এ সমস্ত বিদ্রোহ বিচ্ছিন্নভাবে হয়েছিলো। অনেক চেষ্টা সত্তেও কেউ টিকতে পারেনি। কিন্তু,বিচ্ছিন্ন বিদ্রোহ সমূহকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক জায়গায় এনে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তিনি বলেছিলেন,‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
তিনি ভাইয়েরা আমার বলে বক্তৃতা শুরু করেন এবং শেষ করেন জয় বাংলা দিয়ে। ভাষণ সর্ম্পকে আরো বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিলো একটি কৌশলী ভাষণ। যাতে সাপও মরবে লাঠিও ভাঙ্গবে-এভাবে তিনি স্বাধীনতার কথা বলে গেলেন। তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই দিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে।’
‘আঙ্গুল উচিয়ে বলেছেন, আর আমার বুকে গুলি চালানোর চেষ্টা করোনা। ভালো হবেনা।’
স্থানীয় রাজনীতির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন,‘কেউ কেউ বলছেন এ বার একজন ভালো মানুষ এসেছেন, যিনি সমাজটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। আমি ভালো কিনা জানি না,তবে একটা ভালো সমাজ গড়তে চাই। সেই ভালো সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে কিছু কিছু খারাপ লোক আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো চেষ্টা করছে। কেউ কেউ আছেন নিজেদের অপরাধ ঢাকা দেয়ার জন্যে হয়তো আমার পিছনে গাড়িতে উঠে বসে যাচ্ছে। এরা রাতের বেলায় চলে যাচ্ছে এক জায়গায় আবার দিনের বেলায় আমার মিছিলে ঠিকই আসছেন। এদেরকে আপনারা চিহ্নিত করে রাখবেন। কখনোএদেরকে জায়গা দিবেন না। এদেরকে ইংরেজিতে বলা হয় সোশ্যাল প্যারাসাইসড আর বাংলায় বলা হয় সমাজের কীট। এদের থেকে সাবধান থাকবেন।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো.খোরশেদ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রভাষক মো.শরীফ হোসেন ও বদরুদ্দোজা চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা.হারুন অর রশিদ সাগর,ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাসেম কন্ট্রাকটর, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো.মাহফুজুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবুল পাটওয়ারী,ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গনি বাবুল পাটওয়ারী।
প্রতিবেদক :আতাউর রহমান সোহাগ
৭ মার্চ,২০১৯