চাঁদপুরের সোনালী ,অগ্রণী ,জনতা ও কৃষি এ ৪ ব্যাংকের ৯৩ শাখায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন ) বৈদেশিক র্যামিটেন্স অর্জন করেছে ৬৩৬ কোটি ও লাভ করেছে ৪৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ মতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ৩০ জুন আগেই ব্যাংকগুলোর অর্থ-বার্ষিকী বা ষান্মাসিক হিসেব কষতে হয়েছে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে , সোনালী ব্যাংকের ২০ টি শাখায় জানুয়ারি- জুন পর্যন্ত লাভ করেছে ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ও বৈদেশিক র্যামিটেন্স অর্জন করে ১৪৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা ।
কৃষি ব্যাংকের ২৮ টি শাখায় জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত ১ বছরে লাভ করেছে ২৪ কোটি ৩ লাখ টাকা ও বৈদেশিক র্যামিটেন্স অর্জন করে ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা । অগ্রণী ব্যাংকের ১৭ টি শাখায় জানুয়ারি- জুন পর্যন্ত লাভ ৮ কোটি ৩ লাখ টাকা টাকা ও বৈদেশিক র্যামিটেন্স অর্জন করে ২৯৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা । জনতা ব্যাংকের ১৭ টি শাখায় জানুয়ারি- জুন পর্যন্ত লাভ করেছে ৬ কোটি ১০ লাখ টাকা ও বৈদেশিক র্যামিটেন্স অর্জন করে ১৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা ।
সোনালী ব্যাংক জানুয়ারি- জুন পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণিভূক্তর্ ঋণ আদায় করেছে ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ,অগ্রণী ব্যাংক ৩কোটি ৯ লাখ টাকা ,কৃষি ব্যাংক ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ও জনতা ব্যাংক আদায় করেছে ৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা ।
চাঁদপুরের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয় সূত্র মতে, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাঁদপুরের ২ লাখ ৫০ হাজার শ্রমজীবী বৈধ ভাবে কাজ করছেন। তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে র্যামিটেন্স তাদের নিকটতম স্বজনদের কাছে ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে প্রেরণ করে থাকেন।
চাঁদপুরের প্রবাসীরা প্রতি মাসে এ সব র্যামিটেন্স বিভিন্ন অর্থলগ্নি আন্তর্জাতিকভাবে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে এ সব র্যামিটেন্স প্রেরণ করে থাকে। কোনো কোনো ব্যাংক কেবলমাত্র গোপন একটি পিন নাম্বারের মাধ্যমেও অর্থ লেনদেন করছে এবং টাকা দিচ্ছে ।
প্রসঙ্গত,প্রবাসীরা টাকা প্রেরণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যাংক তার গ্রাহককে কাংখিত অংকের টাকা প্রদান করতে সক্ষম। প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে অর্থের তারল্যের প্রবাহ সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাণ সঞ্চারিত হয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে । বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক বুথের মাধ্যমেই টাকা আদায় করছে ও নতুনভাবে ঋণও বিতরণ করছে।’
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
৭ জুলাই ২০১৯