শাহরাস্তিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বহু বছরের পুরনো একটি চলাচলের পথ ফিরে পেল ৩৫ পরিবার। এতে খুশির বন্যা বইয়ে ওই পরিবারগুলোতে। গত ২৬ জুন ওই পরিবারগুলোকে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করে চলাচলের একমাত্র পথ ও সীমানা প্রাচীরের গেট খুলে দিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা।
এতোদিন এপথ বন্ধ থাকায় পরিবারগুলো লাশ নিয়ে কবরে, অসুস্থ রোগী নিয়ে হাসপাতাল, বিয়ের সময় বরযাত্রী যাতায়াতসহ শিক্ষার্থীরা মক্তব ও স্কুল-মাদরাসায় যেতে পারেনি। অবশেষে স্থানীয় এমপি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ও ইউএনও শিরিন আক্তারের হস্তক্ষেপে বিবাদকৃত পথ উন্মুক্ত হওয়ার ভুক্তভোগীদের কষ্টের অবসান হয়। চাঞ্চল্যকর কা-টি এতদিন বিরাজমান ছিল উপজেলার টামটা উত্তর ইউপি ৫নং ওয়ার্ডের পরানপুর গ্রামের হাজি কালা মিয়া এবং কুমার বাড়িতে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, গত ২০ জুন ওই বাড়ির মৃত কালা মিয়ায় ছেলে আলহাজ মাওলানা মোহাম্মদ শহিদুল্লাহর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। গত তিন বছরের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে শহীদল্লাহ বলেন, এতদিন আমাদের ৩৫ পরিবারের সন্তানেরা স্থানীয় কালা মিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা, হোসেনপুর গাউছিয়া মাদরাসাসহ অনেক স্থানে যেতে পারেনি।
যে ক’জন গিয়েছে তারা বিভিন্ন বাড়ির ওপর দিয়ে গেছে।
২০১৭ সালে ৬ জুলাই কুমার বাড়ির শাহ আলমের মেয়ে তামান্নার (১৮) বিয়ে হয়। পথ না থাকায় বরপক্ষ তাদের বউকে তুলে নিতে গিয়ে প্রচ- সমস্যায় পড়ে যায়। পরে তার স্বজনরা কয়েক জন মিলে অবরুদ্ধ পথ কোলে তুলে পার করে দেয় ওই বধূকে। ওই সময় বর পক্ষের নানা কথায় অপমানিত হতে হয় পরিবারটিকে।
একইভাবে গত সপ্তাহে আবেদনকারীর ছেলে ফয়জুল্লাহ আরিফ (৩১) স্ত্রীর মাতৃত্বকালীন সময় বাড়ির পথ না থাকায় তাকে উপজেলার সুয়াপাড়া এলাকায় তার বাপের বাড়ি রেখে আসতে হয় পরিবারটিকে। ওই বাড়ির এমদাদ উল্লাহ ফারুক ও তার ভাই বাইক কিনেও পথ নিষ্পত্তি না হওয়ায় বাড়িতে পর্যন্ত নিতে পারেননি। এদিকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ায় পরিবারগুলোতে বইছে খুশির বন্যা।